জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’র (Jagaddhatri) কৌশিকী মুখার্জি এখন প্রতিটি দর্শকের চেনা মুখ। এই চরিত্রে অভিনয় করে ‘রূপসা চক্রবর্তী’ (Rupsha Chakraborty) যেন নতুনভাবে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলা টেলিভিশনের দর্শকমহলে। তাঁর সাবলীল অভিনয়, ব্যক্তিত্ব এবং সংলাপ বলার ধরণ দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। তবে মঙ্গলবার এক আবেগঘন অলৌকিক ঘটনার কথা শেয়ার করে আরও একবার মন ছুঁয়ে গেলেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী ঘটেছে তাঁর সঙ্গে? সমাজ মাধ্যমে এক লম্বা পোস্টে রূপসা জানান, তিনি এক অলৌকিক স্বপ্ন দেখেছেন। ঘটনাটি ঘটে ডক্টরস ডে’র দিন ভোর রাতে। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি জানি না আপনারা ক’জন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাসী!” তিনি বলেন, স্বপ্নে দেখেছেন তাঁর প্রিয় ‘সোনাকাকা’-কে। ছোটবেলায় যাঁকে তিনি ডাক্তার হিসেবে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করতেন।
যাঁকে ছাড়া পৃথিবীতে অন্য কোনও ডাক্তারকেই গুরুত্ব দিতেন না তিনি। রূপসা লেখেন, স্বপ্নে তিনি সোনাকাকার সঙ্গে কথা বলছেন তাঁর ছেলের পড়াশোনা, ভবিষ্যৎ আর স্কুল নিয়ে। কাকা মন দিয়ে সব শুনছিলেন, যেমনটা জীবিত অবস্থায় করতেন। এই স্বপ্নে কাকার হাসি ছিল আগের মতোই প্রাণবন্ত। ঘুম ভেঙে তিনি বুঝতে পারেন, সেটা ছিল একটা স্বপ্ন, তবে এতটাই জীবন্ত যে তা যেন বাস্তব ছুঁয়ে গেছে।
এই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, তিনি মৃতদের স্বপ্নে খুব একটা দেখেন না, কিন্তু সেদিন ব্যতিক্রম ঘটেছে। ডক্টরস ডে-তে হঠাৎ সোনাকাকার স্মৃতি ঘিরে ধরা ও স্বপ্নে দেখা যেন এক অলৌকিক বার্তা দিয়েছে তাঁকে। ছোটবেলার অসংখ্য স্মৃতি, ভালবাসা আর স্নেহের মুহূর্ত আজও স্মৃতিতে জীবন্ত, সোনাকাকার প্রীয় ভাইঝির। অভিনেত্রীর কথায়, কাকা নাকি তাঁকে শরীরের যত্ন নিতে বলেছেন।
আরও পড়ুনঃ “মাত্র সাতটা মাস সময়!”— কার জন্য এত আবেগ তিয়াসার? চোখে জল, কাকে হারালেন অভিনেত্রী?
পোস্টের শেষে রূপসা জানান, কাকা আজও তাঁর জীবনের ‘সেরা ডাক্তার’। জীবনের যে কোনও প্রান্তেই হোক, তাঁর মনে কাকা বেঁচে থাকবেন। এই দিনে তিনি কাকাকে মনে করলেন হৃদয়ের তাগিদে। কাকার উদ্দেশেই তিনি লিখলেন, হয়তো একদিন কোথাও আবার দেখা হবে তাঁদের—এই বিশ্বাসই এখন তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।