জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় গ্রামের লোক টাকা নিতে এগিয়ে এলে আশুতোষ রুখে দাঁড়ায় এবং শিরীনের মাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলেন। শিরীনের মা উল্টে হুমকি দেন দাদুকে। এবার তিনি রেগে গিয়ে সোজাসুজি জানিয়ে দেন শিরীনের মাকে, তিনি ন্যাড়া-গোয়ালে থাকতে সে কোনও ক্ষতিও করতে পারবে না আর ওই টাকাও কেউ নেবে না।
এই কথা শুনে সমীরণ দাদুর গায়ে হাত তুলতে গেলে, পারুল আটকে দেয়। তারপর গ্রামের সবাই মিলে তাঁকে মারতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় শিরীনের মা আর শিরীন। এদিকে পারুল গ্রামের সবাইকে একজোট করে কারখানায় তালা লাগিয়ে দেয়। অন্যদিকে শিরীনের মা বলেন, এতদিন পারুল শুধু তাঁর মেয়ের শত্রু ছিল কিন্তু এবার থেকে মায়েরও হলো।

অবিনাশকে ফোন করে শিরীনের মা পারুলকে শায়েস্তা করার নির্দেশ দেন। পাশে বসে সমীরণ ঠিক করে এবার পারুলকে মেরে নিজের প্রতিশোধ নেবে সে। এরই মধ্যে ন্যাড়া-গোয়ালে রায়ানের পিসিমণি, বাবা আর কাকাবাবু উপস্থিত হন, পারুলদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। গ্রামবাসীরা অনেক জোর করেন রথযাত্রা কাটিয়েই যেন ফেরে তাঁরা।
পরদিন যথারীতি রথযাত্রায় অংশ নেয় গ্রামের সকলে। নাচগান করতে করতে রথ এগোতে থাকে। এদিকে সমীরণ এর ঠিক করে রাখা লোক পারুলের উদ্দেশ্যে গুলি চালায়, কিন্তু ঠিক সময়ে গোপাল কাঁসর বাজাতে বাজাতে সেখানে পৌঁছে যাওয়ায় পারুলের গায়ে একটুর জন্য গুলি লাগে না। কিন্তু এই ঘটনায় সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘পুরুষ বন্ধু থাকলেই চরিত্রহীন?’ সমাজের ধ্যানধারণাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের!
পারুল লক্ষ্য করে ব্যক্তিটি পালাচ্ছে, রায়ান তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁকে ধরে ফেললেও সে চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু গ্রামের সবাই মিলে তাঁকে আবার ধরে ফেলে, আর কে পাঠিয়েছে জানতে চাওয়া হয়। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে, সমীরণ গাড়ির চাকায় সেই ব্যক্তিকে পিষে পালিয়ে যায়। গ্রামের সবাই ঠিক করে নতুন বিডিওকে সবটা জানবে। দাদুর আশঙ্কা, খুব বড় বিপদ আসতে চলেছে গ্রামের উপর।