টলিউডের অভিনেতা ‘জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Joyjit Banerjee) এত দিন ধরেই লোকচক্ষুর আড়ালে, কাজের চেয়ে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই যেন বেশি আলোচনা। রটেছে—স্ত্রী শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shreya Banerjee) সঙ্গে সম্পর্ক নাকি ইতি পর্যায়ে, ডিভোর্সও নাকি চূড়ান্ত। সম্প্রতি এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন জয়জিৎ। এই আড়ালে থাকা সময়টাকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন নিজের পেজে বিনোদনমূলক কনটেন্ট তৈরি করে। তাঁর দাবি, “আমি কিন্তু থেমে যাইনি, প্রযোজক‐পরিচালকের হাতে কাজ উঠলেই পর্দায় আসব।
ততদিন দর্শককে আনন্দ দেওয়ার আলাদা রাস্তা বের করেছি।” রাজনীতি প্রসঙ্গে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করেন—নিজের ভিডিও ক্লিপিংস দেখে নাকি বোঝাই যায় তিনি কোন দিকে। স্পষ্টভাষী অভিনেতা এদিন বুঝিয়ে দিলেন, বিতর্কের ঢেউকে আর ঘাঁটাতে রাজি নন। ঠান্ডা মাথায় জানালেন, দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর দাম্পত্য নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল চলে, চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়, কিন্তু তিনি তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন।
বরং বলেন, “আমি তো এন্টারটেইনার—আমার জীবন নিয়ে আলোচনা করে কেউ যদি আনন্দ পায়, তাতেই আমার মজা!” যেখানে বিচ্ছেদ জল্পনা তুঙ্গে, সেখানেই জয়জিতের অকপট স্বীকারোক্তি—“আমি ম্যারেড।” তবে একই সঙ্গে মেনে নেন, দীর্ঘদিনের দাম্পত্য সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকতেই পারে। খোলাখুলি বলেন, “সামাজিক মাধ্যমে যা ঘোরে, তার সবটা সত্যি নয়। প্রমাণ ছাড়া আঙুল তোলে যে কেউ, আর আমি সেটা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত।”
নিজের অবস্থান স্পষ্ট, তবু স্ত্রীর বিষয়ে প্রকাশ্যে দুঃখ-কষ্ট নিয়ে মুখ খুললেন না। সম্পর্ক টিকে আছে কি না, সেই ধোঁয়াশাই যেন আলোচনা জিইয়ে রাখলেন এক প্রকার। ব্যক্তিগত জীবনে সবচেয়ে বড় ভরসা ছেলে যশোজিৎ—যাকে তিনি আদর করে ‘সিম্বা’ বলে ডাকেন, নিজেকে ভাবেন ‘মুফাসা’। ছোটবেলা থেকেই পিতৃস্নেহে গড়ে ওঠা এই সমীকরণ অভিনেতার কাছে অনন্যমাত্রায় প্রিয়। কাজের ফাঁকে যতটুকু অবসর, পুরোটাই ছেলের জন্য সাশ্রয় করেন।
আরও পড়ুনঃ “অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী নারীরা সংসারের জন্য নিজের ইচ্ছা এবং পেশাকে জলাঞ্জলি দিতে বাধ্য হয়!” — নারীর সংগ্রাম নিয়ে খোলামেলা সোনালী! ‘মিত্তির বাড়ি’তে তপতীর ভূমিকায় বাস্তবের গল্প বলছেন তিনি! সংসারে লড়াই করে মেয়েরাও ঘুরে দাঁড়াতে পারে, বার্তা তাঁর!
জয়জিৎ জানালেন, “আমার প্লেজার টাইম বরাদ্দ থাকে শুধুই ওর জন্য। সেই জায়গাটা কখনও খালি রাখি না।” পেশাগত দিকেও অগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে। সদ্য একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, আরও কয়েকটি ছবির কথাবার্তা চলছে। ইন্ডাস্ট্রির অন্তর্জট সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য, “এখানে প্রচুর খোপ, প্রচুর বাটন। আমি পকেট না হয়, বাটন হয়েই থাকি।” অর্থাৎ নিজস্ব স্বরখানি বজায় রেখে, যতখানি সুযোগ আসে ততখানিই গ্রহণের মানসিকতা তাঁর।