জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য অপুর হাতে সেই রাজনন্দিনী শাড়িটা তুলে দেয়। অপুকে খুব খুশি হতে দেখে, আর্য জানায় এই শাড়ি মোটেও নতুন নয় বরং অনেক পুরনো। এরকম মাত্র চারটে শাড়ি তৈরী করা হয়েছিল, এতদিন যোগ্য লোকের অভাব ঘরেই পড়েছিল এই শাড়ি। এই শাড়ির যদি কেউ যোগ্য হয় তবে সেটা অপু।
আর্যর এই কোথায় অপুর খুব ভালো আগে। এরপর আর্য অপুকে অনুরোধ করে, অনুষ্ঠানের দিন অপু যেন এই শাড়িটা পড়েই আসে। অপু খুব আনন্দ নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে দেখায়। তাঁরাও খুব আনন্দ পান এই শাড়ির পেছনের গল্প শুনে। অন্যদিকে মীরা এখনও আর্যর অপেক্ষায় গৃহবন্দী হয়ে আছে। সে চায় আর্য নিজে এসে তাকে অফিসে ফিরিয়ে নিয়ে যাক।

প্রতিবার কলিং বেল বাজলেই সে ভাবছে বুঝি আর্য এসেছে, কিন্তু দরজা খুলে হতাশ হচ্ছে। এবারও কলিং বেল বাজতেই সে দরজা খুলে দেখে অফিস থেকে একজন তাকে রাজনন্দিনী শাড়ির অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করতে এসেছে। মীরা মনে মনে কষ্ট পায়, সে এক ধাক্কায় সবার চোখে এতটা নেমে গেছে যে লোক দিয়ে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে হচ্ছে। মীরা ঠিক করে সেখানে যাবে না।
রাতে অপু আবার সেই অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে, কেউ একজন আলতা পায়ে হেঁটে যাচ্ছে আর পরনে সেই রাজনন্দিনী শাড়ি। পরদিন অপু শাড়িটা পরতেই অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। এই শাড়ির গন্ধ তার খুব চেনা লাগে, মনে হয় এই শাড়ির সঙ্গে তার অনেক পুরনো স্মৃতি জড়িয়ে আছে। হঠাৎ করে আয়নায় সে আবার ওই রহস্যময় নারীর প্রতিবিম্ব দেখতে পায়, মুহূর্তেই মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায় অপু।
আরও পড়ুনঃ “চোখ দিয়েই মনের কথা বলি, বিতর্ক নিয়ে ভাবি না” — সাফল্য-সংকটে কীভাবে সামলান অভিনেত্রী ইধিকা পাল?
অন্যদিকে আর্য তার মা এবং অর্ক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্যে রওনা দেবে, এমন সময় অর্কর স্ত্রী তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। শুধুমাত্র আর্যর মনের মানুষকে জানার জন্য সে যেতে চায় আর্যদের সঙ্গে। এরপর অনুষ্ঠান শুরু হতেই আর্য একে একে পরিবারের সকলকে ডেকে নেয়। তারপর এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে অপুকে মঞ্চে ডাকে। অপুর পরনে ওই শাড়িটা দেখে রীতিমত অবাক হয়ে যান আর্যর মা।