ছোটপর্দার পরিচিত মুখ অনামিকা চক্রবর্তীকে এখন আর সিরিয়ালে দেখা যায় না। বহুদিন হল টেলিভিশনের দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন তিনি। বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকে ব্লগ বানানোই তাঁর মূল পেশা। তবে গত কিছুদিন ধরেই সমাজমাধ্যমে তাঁর কোনও পোস্ট চোখে পড়েনি। অনুরাগীরা বুঝতে পারছিলেন কিছু একটা ঠিকঠাক নেই, কিন্তু কী তা বুঝতে পারছিলেন না। আচমকাই সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই স্পষ্ট হয়, তিনি কতটা মানসিক চাপে রয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে অনামিকাকে প্রায় চোখের জল ধরে রাখতে দেখা যায়। নিজের আদরের পোষ্যর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি। জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর পোষ্য খুব অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তাঁকে দৌড়াতে হয়েছে একাধিক হাসপাতালে, কিন্তু প্রত্যাশামতো পরিষেবা মেলেনি। এখানকার পশু চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। ভিডিয়োতে বলেন, ‘‘পোষ্য আনতে গেলে আগে অনেক পড়াশোনা করে নিন। কারণ এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভয়ঙ্কর।’’
ভিডিয়োতে অনামিকা জানান, এক চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রবলভাবে ক্ষুব্ধ, যদিও এখনই নাম বলতে চান না। সময় এলেই সেই চিকিৎসকের নাম প্রকাশ্যে আনবেন বলেও জানান তিনি। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, একজন পোষ্যপ্রেমী কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান, তা অনেকেই বোঝেন না। এই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি একটি সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ভিডিয়ো তৈরি করেছেন, যাতে অন্য কেউ এই সমস্যার মধ্যে না পড়েন।
তবে মন খারাপের মধ্যেও অনামিকা ভুলে যাননি তাঁর অনুরাগীদের। তাঁদের উদ্দেশে ভিডিয়োয় তিনি লেখেন, ‘‘আমি একেবারে ঠিক আছি। আমার সঙ্গে কিছু হয়নি। যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।’’ এই ভিডিয়ো শুধু নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার নয়, বরং পোষ্যপ্রেমীদের জন্য একটি বার্তাও।
আরও পড়ুনঃ রাই-অনির্বাণের পুনর্মিলন, নিলু-ক্রান্তির নতুন জীবন, তবু সার্থক-স্রোতের শেষটা থেকে গেল অসম্পূর্ণ! শেষ পর্বে আবেগ ছিল, কিন্তু ছিল না সেই কাঙ্ক্ষিত মিলন! তিন বোনের মিলনই হলো না! ‘মিঠিঝোরা’র অন্তিম পর্ব নিয়ে তৃপ্ত নন দর্শকরা!
অনামিকার ছোট পর্দা থেকে সরে আসা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন। শোনা যায়, ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল তাঁর। তবে এই বিষয়ে অভিনেত্রীর সোজাসাপটা জবাব, ‘‘আমি একটুও ভাবি না কে কী বলছে।’’ নিজস্ব গতিতে, নিজের মতো করেই জীবন বেছে নিয়েছেন অনামিকা। তবুও তাঁর জীবনের এমন এক কঠিন অধ্যায় দেখে মন খারাপ হয়ে গিয়েছে অনুরাগীদেরও।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।