জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং ১’ (Didi No. 1) আজ শুধু একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নয়, এটি অনেক মহিলার অনুপ্রেরণার গল্প। অথচ এই শোয়ের শুরুটা হয়েছিল অন্যরকমভাবে। প্রথম সিজনের সঞ্চালিকা ছিলেন ‘পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়’ (Pushpita Mukherjee)। তাঁর হাত ধরেই এই শোয়ের যাত্রা শুরু হলেও, ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Rachana Banerjee) -এর উপস্থিতিতেই এই শো আজ পৌঁছেছে ঘরে ঘরে। ‘দিদি’ নামে রচনার এই পরিচিতি তাঁকে এনে দিয়েছে এক ভিন্ন মর্যাদা ও জনপ্রিয়তা।
তবে শুরুতেই এই রিয়েলিটি শোয়ে সঞ্চালনা করতে রাজি ছিলেন না রচনা! সেই সময়ে রচনার নিজের মধ্যেই ছিল দ্বিধা। সিনেমার জগৎ থেকে হঠাৎ টেলিভিশনে পা রাখা, সেটা আদৌ তাঁর কেরিয়ারে কী প্রভাব ফেলবে— এসব ভাবনায় তিনি বেশ সংশয়ে ছিলেন। সম্প্রতি এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেন রচনা। ২০১০ সালে যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে জি বাংলার নাচের রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে নাচ ও বিনোদনে ভরপুর শো-র অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে অন্যরকম।
কিন্তু তারপর টিভিকে বিদায় জানিয়ে আবারও ফিরতে চেয়েছিলেন বড় পর্দায়। ঠিক সেই সময়ই পরিচালক অভিজিৎ সেন ও প্রযোজক নবনীতা রচনার কাছে ‘দিদি নং ১’-এর প্রস্তাব নিয়ে যান। প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও, তাঁদের উপর ভরসা রেখেই শেষমেশ রাজি হন অভিনেত্রী। এদিন রচনা জানিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্তই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিনি অভিজিৎ সেন এবং জি বাংলার পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অভিনেত্রীর মতে, আজ ‘দিদি নং ১’-এর মাধ্যমে তিনি শুধু আর্টিস্ট নন, হয়ে উঠেছেন বাংলার প্রতিটা পরিবারের সদস্যের মতো। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মেয়েদের জীবনের গল্পের সঙ্গী হয়ে উঠেছেন তিনি। এ এক অভিজ্ঞতা, যা তাঁকে আজও সমানভাবে উৎসাহী করে তোলে। এই শো তাঁকে দিয়েছে এক নতুন পরিচয় এবং এক নতুন জীবন, বলেছেন রচনা। অভিনেত্রী আরও বলেন, জীবনের এতবছর সিনেমা জগতে কাটিয়েও স্বীকৃতি তিনি পাননি।
আরও পড়ুনঃ ‘মিঠিঝোরা’ শেষ হতেই নতুন প্রজেক্টে আরাত্রিকা! ছোটপর্দা ছেড়ে এবার কোথায় পা দিলেন রাইপুর্ণা?
সেই স্বীকৃতি পেয়েছেন এই ‘দিদি নং ১’ -এর হাত ধরে। বর্তমানে এই শো বহু নারীর অনুপ্রেরণার নাম। রচনার ব্যবহার, আত্মিক যোগাযোগ, আর অতিথিদের সঙ্গে তাঁর আন্তরিকতা এই শো-কে বাকি রিয়েলিটি শো-এর থেকে একেবারে আলাদা করে তোলে। দর্শকরাও এই দিদিকে আপন করে নিয়েছেন চোখের জলের গল্পে, হাসির মুহূর্তে আর জীবনের নানা টানাপোড়েনে। যে টেলিভিশন মাধ্যমকে একসময় তিনি গুরুত্ব দেননি, সেই মাধ্যমই তাঁকে এনে দিয়েছে এক অসাধারণ গ্রহণযোগ্যতা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।