জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। গল্পের টানটান উত্তেজনা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে শিল্পীদের অনবদ্য চেষ্টা। প্রথম ধারাবাহিকেই ‘পারুল’-এর ভূমিকায় ‘ঈশানী চ্যাটার্জি’ (Ishani Chatterjee) যেন নিজেকে প্রমাণ অন্য স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। চরিত্রের সূক্ষ্ম অভিব্যক্তি, সংলাপ বলার ভঙ্গি এবং নৃত্য দক্ষতা মিলিয়ে তিনি এখন নতুন প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভা হয়ে উঠছেন।
ধারাবাহিকে ঈশানীর বিপরীতে রয়েছেন ‘উদয় প্রতাপ সিং’ (Uday Pratap Singh)। যাঁকে এতদিন মূলত পার্শ্বচরিত্রে দেখা গেলেও, এবার তিনি নায়কের চরিত্রে অভিনয় করে এক অন্যরকম ছাপ রেখে চলেছেন। ‘রায়ান’-এর চরিত্রে তাঁর সংযত কিন্তু দায়িত্ববান উপস্থিতি দর্শকের মন কাড়ছে। পারুল-রায়ানের রসায়ন নিয়েও নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে—অনেকেই বলছেন, “এই জুটি পর্দায় একেবারে জমে গেছে।”
সম্প্রতি ঈশানীর প্রতিভার প্রশংসা করতে পিছপা হলেন না জি বাংলারই আরেক জনপ্রিয় মুখ ‘অন্বেষা হাজরা’ (Annwesha Hazra)। বর্তমানে ‘আনন্দি’ নামেই পরিচিত এই অভিনেত্রী সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে ঈশানীকে পারুল চরিত্রে নাচ করতে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে অন্বেষা লেখেন, “ট্যালেন্টেড, পরিশ্রমী, আর কি বলবো জানি না। আমি তোকে দেখি মন্ত্রমুগ্ধের মতো। তুই সিনিয়র হবি, তুই আইডল হবি—আমি নিশ্চিত।”
অন্বেষার পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই তাঁর বক্তব্যে সহমত পোষণ করেন। কেউ কেউ বলেন, “এটাই হওয়া উচিত একজন সিনিয়র জুনিয়রের সম্পর্কের নমুনা।” এমন আন্তরিক শুভেচ্ছা আর প্রকাশ্য প্রশংসা পেয়ে ঈশানীর অনুগামীরাও আনন্দে ভাসছেন। এমনকি ইশানী নিজেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই পোস্টের। ঈশানী লেখেন, “তোমাকে সেই ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ থেকে ভালো লাগে। এমন করেই পাশে থেকো।”
আরও পড়ুনঃ “১৮ দিন নিজের মুখ দেখতে পারিনি! হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম, ভয় লাগত আমার!”— বডিশেমিংয়ের যন্ত্রণা এতটাই ছিল, জীবন শেষ করে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন অরিজিতা! সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে একটা কথাই ভরসা দিয়েছিল তাঁকে! আজও মনে রেখেছেন কী সেই কথা?
অন্বেষা ও ঈশানীর এই সম্পর্ক যেন এক ইতিবাচক বার্তা দেয়। প্রতিযোগিতা নয়, একে অপরের প্রতি সম্মান আর ভালোবাসাই যে শিল্পের প্রকৃত সৌন্দর্য, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন অন্বেষা। সিনিয়র হিসেবে ঈশানীর প্রতি তাঁর খোলা প্রশংসা শুধু বন্ধুত্বের নিদর্শন নয়, বরং ভবিষ্যতের এক আদর্শ বন্ধনের ইঙ্গিত। অন্যদিকে ঈশানীও নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে প্রমাণ করছেন, যোগ্যতা থাকলে স্বীকৃতি আসবেই।