জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য মিথ্যে কথা বলে অপর্ণাকে বাড়ি থেকে দূরে নিয়ে যায়। একান্তে আর্য নিজের মনের কথা বলতে চায়, কিন্তু সেই মুহূর্তে অপুর বাবা আর পড়ার লোকেরা এসে ভিড় জমায়। আর্য আর কথাটা বলতে পারে না।
আর্যর এমন অসহায় পরিস্থিতি দেখে অপু নিজের হাসি আটকাতে পারে না। অপুর বাবা লক্ষ্য করে আর্য আর অপুর মধ্যে একটা কিছু চলছে, উনি ভাবতে থাকেন যে আবার অপুকে আর্যর অফিসে কাজ করতে দেওয়া ঠিক হয়নি। আর্য জরুরি ফোন সেরে অপুদের সঙ্গে বাড়ি ফিরতেই, মীরা নানান রকম প্রশ্ন তুলে জেরা করতে শুরু করে আর্যকে।

কিঙ্কর সঠিক সময়ে আর্যর হয়ে উত্তর দিয়ে বাঁচিয়ে দেয় তাকে। এরপরে সবাই বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। অপু সবাইকে এগিয়ে দিয়ে আসতে চায়, কিন্তু মীরা আপত্তি করে। শেষমেষ অপুর বাবা অতিথিদের গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে যায়। বাড়ি দিয়ে বাইরে বেরোতে আবার মীরা আর্যকে বলে, সে অপর্ণার সাথে যেভাবে মিশছে লোকের চোখে দৃষ্টিকটু লাগতেই পারে।
আর্য এবার উল্টে মীরাকে বলে, সেদিন মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে মীরা যেভাবে তাকে জড়িয়ে ধরে ঘনিষ্ঠ হয়ে শোক প্রকাশ করছিল, সেটাও লোকের বেশি দৃষ্টিকটু লেগেছে। বিরা আর কিছু না বলে চুপ করে যায়। অন্যদিকে অপু লুকিয়ে লুকিয়ে আর্যকে ছাদ থেকে যেতে দেখে। বরাবরের মতো আর্য ছাদের দিকে তাকাতেই অপুর সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে।
রাতে কিঙ্কর আলাদা করে কিছু বলার জন্য আর্যকে অফিসে নিয়ে যায়। কিঙ্কর আর্যকে সাবধান করে নিজের অতীত সম্পর্কে অপর্ণা কে সে যেন না বলে। ভালোবাসার ফাঁদে পা দিয়ে একবার সে বিপদে পড়েছে, আর্য কথা থামিয়ে দিয়ে বলে, সে আবার ভালবাসায় পড়তে চায়। টাকা পয়সা সারা জীবন থাকলেও পাশে থাকার মানুষ দরকার তার। এমন সময় তারাসুন্দরী মা সেখানে উপস্থিত হন।
আরও পড়ুনঃ ইলিশের দামে মাথায় হাত, ভগবানের পাশে দাঁড়ালেন স্বয়ং ভগবান! নিত্যদিনের টেনশনে জেরবার বিশ্বনাথ, সংসারের হাল ধরতে হাজির মহাদেব! আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘শ্রীমান ভগবান দাস’! কোন চ্যানেলে, কবে থেকে?
আর্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অতীতে অনেক অন্ধকার জমে আছে ভবিষ্যতেও কালো অন্ধকার। এর অর্থ বুঝতে পারেনা আর্য, দৌড়ে খুঁজতে যায় তারাসুন্দরী মাকে। অন্যদিকে অপর্ণা বাড়িতে সব পরিষ্কার করছে, এমন সময় সেখানে আবার উপস্থিত হয় তারাসুন্দরী মা। অপুকেও একই কথা জানান তিনি, অপু উত্তর দেয় সে এক অজানা ডাক শুনতে পায় রোজ। তার মনে হয়, সেই ডাকে সাড়া দাওয়াই তার জীবনের অর্থ।