টেলিপাড়ার আদরের ‘মিঠাই’ অর্থাৎ সৌমিতৃষা কুন্ডুকে (Soumitrisha Kundu) নিয়ে ভক্তদের মনে বহুদিন ধরেই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। একসময় যিনি ধারাবাহিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ বা সমাজ মাধ্যমে নিয়মিত থাকতেন, তিনি হঠাৎ করেই যেন অন্তর্ধান ঘটালেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ ‘কালরাত্রি’ সিরিজের পর আর কোথাও দেখা যায়নি তাঁকে। কোনও ফটোশুট, কোনও টক-শো, এমনকি ইনস্টাগ্রাম পোস্টও বন্ধ ছিল। ফলত, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অনুরাগীরা। সংবাদ মাধ্যমে পর্যন্ত শিরোনাম হয়েছিল— সৌমিতৃষা ঠিক আছেন তো?
বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে একের পর এক টলিউডের অনুষ্ঠান মিস করেছেন অভিনেত্রী। এপ্রিলের পর থেকে একেবারেই নীরব ছিলেন সমাজ মাধ্যমে। এত দীর্ঘ অনুপস্থিতি নিয়ে যখন নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে, তখন জানা যায়— সৌমিতৃষার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে এবং তিনি রাজ্যের বাইরে চিকিৎসাধীন। অসুস্থতার কারণে সবরকম কাজ থেকে স্বেচ্ছায় বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। নিজের শরীর এবং সুস্থতার জন্য পরিবার ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রাখেননি।

এই দীর্ঘ নীরবতার অবসান ঘটে ২১ জুলাই। সেই দিন শাসকদলের এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে প্রথমবার দেখা যায় অভিনেত্রীকে। অনুষ্ঠানের পর নিজেই সমাজ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হচ্ছি। যারা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, শুভকামনা জানিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’ ছবি দেখে স্পষ্ট, চিকিৎসার ক্লান্তি এখনও চোখেমুখে রয়ে গিয়েছে। তবুও নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছেন অভিনেত্রী। এমন এক খোলামেলা স্বীকারোক্তি অনুরাগীদের মধ্যে আবার আশার আলো জাগায়।
বর্তমানে আবার কাজে ফিরেছেন সৌমিতৃষা। ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরছেন তিনি। আগের মতোই সক্রিয় হচ্ছেন সমাজ মাধ্যমে। এদিন একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি, পরনে কালো টপ, খোলা চুল আর আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ লাগছে তাঁকে। ভিডিওটিতে সৌমিতৃষা বলেন, “ওষুধ চলছে তাই বাইরের খাওয়ার বন্ধ, কিন্তু আমি কেক বা মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসি। আজ একটা খুব সহজে মাগ কেক বানাবো, ভাবলাম তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিই।” ভিডিওটিতে খুব সহজেই বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়ে মাইক্রোওয়েভে কেক বানিয়ে দেখালেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ জনপ্রিয়তার পরেও কাজের আকাল! ইন্ডাস্ট্রির গোপন চক্রের অভিযোগ তুললেন দীপান্বিতা রক্ষিত!
ভক্তরা আবার আগের সেই প্রাণোচ্ছল অভিনেত্রীকে দেখে বেশ খুশি হয়েছে। এই নতুন সৌমিতৃষা যেন আরও বাস্তব, আরও কাছের। ভক্তরা বলছেন, অভিনেত্রী হিসেবে নয়, মানুষ সৌমিতৃষাকেই এবার চিনছেন তাঁরা। তাঁর সাহস, জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব এবং সুস্থতার পথে লড়াই অনুপ্রেরণা জোগাবে অনেককেই। সৌমিতৃষা নিজেও বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সময় যেমন কঠিন হয়, তেমনি তা কেটে যেতেও বেশি সময় লাগে না— শুধু ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাস থাকলেই হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।