জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্যর কাছে রাজলক্ষ্মী জানতে চান, কেন অপর্ণাকে নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়েছিল সে। আর্য বলে সবটাই ভবিতব্য, এতো বৃষ্টি হচ্ছিলো যে তাদের গাড়ি থামাতে হয়েছে এবং ঘটনাচক্রে ওই বাড়িটাই সামনে ছিল।
আর্য বলে, অপু বারবার অতীতকে সামনে নিয়ে চলে আসছে কোনও এক অদৃশ্য জাদু দিয়ে। রাজলক্ষী জানতে চান, একই ভাবে কি আর্যর মনেও অপু চলে আসছে? যদি আসে তাহলে তাকে আসতে দেওয়াই ভালো, স্বাভাবিকতা নষ্ট করা উচিৎ নয়। হয়তো অপুই আর্যর ভবিতব্য, বলেন তিনি। এদিকে রুম্পাকে অপু সব ঘটনা খুলে বলে, তারপর রুম্পা বলে যে কেউ অপুর এই কথা শুনলে বিশ্বাস করবে না।

অপু রুম্পাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, যে ছবিটা সত্যিই রাতে ওখানে ছিল কিন্তু সকালে ছিল না। আর অপুর বিশ্বাস আর্যর সঙ্গে ছবিতে থাকা ওই মেয়েটাকেই অপু স্বপ্নে দেখে, বা হয়তো এই মেয়েটাই রাজনন্দিনী, যার প্রসঙ্গ তুললেই আর্য সংযত হয়ে যায়। এদিকে মেঘরাজ অপুকে অপহরণ করে আর্যকে নিয়ে কিছু সত্যি বলতে চেয়েছিল, তারপর ওই বাড়িতে একটা লোকও।
সব মিলিয়ে অপু খুব দিশেহারা হাজার প্রশ্নের মাঝে। পরদিন সকালে মীরা আর্যর কাছে যায়, বলে যে বন্ধুত্বের অধিকারে সে বলছে যে অপর্ণার সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলছে আর্য, এটা তার সম্মানের পক্ষে মোটেও ভালো না। আর্য মীরাকে নিজের জায়গা বুঝিতে দেয়। অন্যদিকে নতুন কাজের ইন্টারভিউ দিতে গেছে অপু আর সঙ্গে তার বাবাও। অপুর ঘোর আপত্তি, কিন্তু বাবা একা ছাড়বেন না।
আরও পড়ুনঃ অন্ধকার অতীতের মুখোমুখি অপর্ণা, পুরনো বাড়ি যেন গিলে খেল প্রমাণ! সব জেনেও মুখ খুলছে না আর্য, অর্কের ফিরল স্মৃতি! ভবিতব্যই বারবার টেনে নিয়ে যাচ্ছে আর্য-অপর্ণাকে সেই বাড়ির দিকে! কিঙ্করের অস্থিরতা বাড়ছে, বড়ছে অপর্ণার প্রশ্নও!
ইন্টারভিউ অপুর এতো ভালো হয় যে সেই দিনই অফার লেটার পেয়ে যায় সে। আর্য অফিসের কাজে সেখানে অপুকে দেখে নেয়। বাড়ি ফেরার পথে আর্য গাড়ি নিয়ে হাজির হয় অপর্ণার সামনে, বলে বাড়ি ছেড়ে দেবে তাকে। পরেই লক্ষ করে অপুর সঙ্গে তার বাবাও আছেন। এরপর দুজনকেই গাড়িতে করে আর্য বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।