জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মেয়েদের শক্তিশালী হতে দেখলে কিছু পুরুষদের আবার সহ্য হয় না! নারীকেন্দ্রিক গল্প শুনলেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া! সমাজের মানসিকতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ সন্দীপ্তা সেনের!

টলিউডে নারীকেন্দ্রিক চিত্রনাট্য এখন নতুন নয়। পরিবর্তনের হাওয়ায় গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছেন নারীরা। কিন্তু তাও যেন কোথাও গিয়ে আটকে পড়ছে সমাজের চিন্তাধারা। বহু সময়েই শোনা যায়— “আবার নারী কেন্দ্রিক ছবি?” এই একটি কথার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে একপ্রকার তাচ্ছিল্য। এমন মানসিকতা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ্তা সেন অভিনীত নতুন ওয়েব সিরিজ বীরাঙ্গনা। একজন নারীর সাহস, লড়াই আর অস্তিত্বের গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। প্রোমোশনের একাধিক ইভেন্টে উপস্থিত হয়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “এই ধরনের কাজ করতে ভালো লাগে, কারণ গল্প বলার মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা ছড়ানো যায়।” কিন্তু এরপরই এক ইন্টারভিউতে তিনি জানান, এখনও বহু জায়গায় এমন মন্তব্য শুনতে হয়— “আবার নারী কেন্দ্রিক কাজ!” এই ‘আবার’ শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে থাকে একপ্রকার ক্লান্তি, বিরক্তি এবং প্রচ্ছন্ন পুরুষতান্ত্রিক ইগো।

সন্দীপ্তার মতে, “নারীকেন্দ্রিক কাজের মধ্যে যেন একটা আলাদা ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়। বারবার বোঝাতে হয়, এটা আলাদা, স্পেশাল। কিন্তু একজন নারীকে কেন্দ্র করে গল্প বলা কেন ‘আলাদা’ হবে?” তিনি স্পষ্ট বলেন, এই ‘আবার’ বলার মধ্যেই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা প্রকাশ পায়। শিল্পীর কাজ শুধু বিনোদন দেওয়া নয়, সামাজিক বার্তা দেওয়া এবং সেখানেই অভিনেত্রীদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায় বলে মত তার।

এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, “আমরা শিল্পী, আমাদের একটা দায়িত্ব থাকে সমাজের প্রতি। আমরা এমন কাজ বেছে নিতে চাই যা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে।” সন্দীপ্তার মতে, শুধু কনটেন্ট তৈরি নয়, দর্শকদের মানসিকতা বদলানোর দায়ও শিল্পীদের কিছুটা থাকে। তাই এই ধরনের নারীকেন্দ্রিক সিরিজে কাজ করতে তিনি বরাবরই আগ্রহী।

আরও পড়ুনঃ অপুকে ঘিরে ধীরে ধীরে খুলছে অতীতের পাতা, রাজলক্ষ্মী দেখছেন ভবিষ্যতের ইশারা! অপর্ণার সাফল্যের দিনে আবারও কাকতালীয়ভাবে হাজির আর্য! অপু সেই স্বপ্ন দেখছে আবার, এটা কি সত্যিই ভবিতব্য নাকি পুনর্জন্ম? রাজনন্দিনী কি ফিরে এসেছে অপর্ণার শরীরে?

শেষে তিনি বলেন, “সমাজে এত পরিবর্তন এসেছে, তবুও কিছু মানুষ এখনও ‘নারীকেন্দ্রিক ছবি’ শুনলেই চোখ উল্টে নেয়। এটা খুব দুঃখজনক।” সন্দীপ্তার কথায় উঠে আসে এক গভীর বেদনা, কিন্তু তার পাশাপাশি এক বিশ্বাসও— ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো আরও গ্রহণশীল হবে। নারীর কথা বলা যেন আর আলাদা কিছু না হয়ে ওঠে, বরং হয়ে উঠুক গল্প বলার স্বাভাবিক অভিমুখ। ‘বীরাঙ্গনা’ তাই শুধু একটি সিরিজ নয়, এক সামাজিক বার্তাও।

Piya Chanda