জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মেঘরাজ তার লোকদের কথা শোনাতে থাকে অপর্ণার মৃ’তপ্রায় অবস্থা করার জন্য। পরে পর্যবেক্ষণ করে জানতে পারে মেঘরাজ যে অপর্ণা সুস্থ আছে, খালি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারপর নিজের লোকেদের সতর্ক থাকতে বলে, যেন অপর্ণা আগের বারের মতো পালাতে না পারে। অনেকবার আর্যর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সে।
আর্যকে গর্ত থেকে বের করতে অপর্ণাই অপরিহার্য বলে মেঘরাজ। তার কথায়, অপর্ণার খোঁজ পেলে ঠিক খুঁজতে খুঁজতে আসবে আর্য আর তারপরই নিজের বদলা নেবে মেঘরাজ। এদিকে অপর্ণার মা-বাবা মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে, উদ্বিগ্ন হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। ভেতরে ঢুকতে গেলে প্রথমে মীরা বাধা দেয় তারপর পুলিশ। অপুর মা-বাবা বলেন, শুধুমাএ রাজলক্ষ্মীর সঙ্গে দেখা করেই চলে যাবেন। কিঙ্কর এসে তাঁদের ভেতরে নিয়ে যায়।

রাজলক্ষ্মীর কাছে গিয়ে অপুর মা-বাবা বলেন, শুধুমাত্র তিনি ভরসা দিয়েছিলেন বলেই অপর্ণাকে এতরাতে একা ছেড়েছিলেন। এখন সে নিখোঁজ, কিছুদিন আগেই বিপদ গাছে আর এখন কোথায় কে জানে। রাজলক্ষ্মী শান্ত হতে বলেন তাদের। অপুর বাবা রেগে গিয়ে বলেন, যদি রাজলক্ষ্মীর মেয়ে হারিয়ে যেত তাহলেও কি একই কথা বলতেন? আর্যর জন্যই অপুর জীবন শেষ হয়ে গেছে, এমন কথাও বলেন তিনি।
রাজলক্ষ্মীর চোখের সামনে অতীত ভেসে ওঠে কথাটা শুনে। কিঙ্করকে তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপর্ণার খোঁজ করতে বলেন। অন্যদিকে আর্যর অবস্থার অবনতি হয়, ডাক্তার জানিয়ে দেন যে রক্ত ছাড়া কোনও ভাবেই তাকে বাঁচানো যাবে না। রক্তের গ্রুপ অপুর বাবার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তিনি রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচান আর্যর। রাজলক্ষ্মী চিরকালের জন্য ঋণী হয়ে যায় অপুদের কাছে। শরীরে কিছুটা রক্ত যেতেই আর্য জ্ঞান ফিরে পায়।
আরও পড়ুনঃ “হাতাকাটা ব্লাউজ বা ছোট জামা কখনও পরিনি, আর পরবও না! নিজের স্বাচ্ছন্দ্যটাই আমার প্রথম শর্ত!” অভিনয়ের জন্য নিজের শর্ত বিসর্জন দিতে নারাজ শ্বেতা
কিছুতেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না সে, অপর্ণার খোঁজ করতে করতে কেবিনের বাইরে বেরিয়ে আসে। সেখানে এসে সবার মুখ দেখেই আর্য বুঝতে পারে, কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। অপুর মা-বাবা মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানায় আর্যকে। কিঙ্কর বলে, আর্যকে বিশ্রাম নিতে। মীরা জানায়, পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে কিন্তু অপুর মা বলেন যে পুলিশের থেকে বেশি আর্যর উপরে ভরসা আছে তার। আঁচল পেতে অপুকে ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করেন তিনি আর্যর কাছে।