জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য অপর্ণাকে সতর্ক করে দিচ্ছে যেন পেশাদার সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ থাকে সে। আর্যর আচরণ দেখে যদিও অপর্ণা বুঝতে পেরেছে, আর্য যে কথাগুলো বলেছে সেগুলো তার নিজের মনের কথা নয়।
আর্য নিজেও মনে মনে অপর্ণার কাছে ক্ষমা চায়, এইভাবে কষ্ট দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। আর্য অতীত মনে করলে দেখা যায়, আর্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে অপর্ণাকে মনের কথা সব খুলে বলবে। কিন্তু কিঙ্কর সেটায় বাধা দিয়ে বলে, এমনিতেই অপর্ণা এতবার বিপদে পড়ছে আর এই সম্পর্কটা হলে দুজনেরই সমান বিপদ।

আসলে কিঙ্কর মনে মনে চায় যে আর্য যেন নতুন সম্পর্কে না যায়, বিশেষ করে অপর্ণার সঙ্গে। কারণ এতে অতীত বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি। আর্যর স্মৃতিচারণ শেষ হলে, দেখা যায় অপর্ণা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যাচ্ছে, এমন সময় কিঙ্কর এসে উপস্থিত হয়। অপর্ণার অবস্থা দেখে সে বুঝতে পারে, আর্য তাঁর শেখানো বুলি আওড়েছে।
বাড়ি ফিরে অপর্ণা নিজেকে নানান কথায় আর কাজে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে, আর্যর প্রসঙ্গটা ভুলতে। কিন্তু অপর্ণার বাবা বুঝতে পারেন যে মেয়ে ঠিক নেই। অপর্ণার ফোন বাজলে সে ছুটে যাচ্ছে আর্য ভেবে, আবার দরজায় টোকা পড়লেও সে ভাবছে আর্য এসেছে। কিন্তু অপর্ণার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে রুম্পা, বন্ধুকে মনের কথা বলতে পেরে অবশেষে অপর্ণা শান্তি পায় একটু।
আরও পড়ুনঃ “ঠাকুরদাকে ক’সাই বলছে…গোপাল পাঁঠা কোনও কসা’ই নন, উনি স্বাধীনতা সংগ্রামী!” “তথ্য বিকৃত করেছে, আমাদের পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে!”— ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর পরিচালকের বিরুদ্ধে এফআইআর ও মানহানির মামলা দায়ের গোপাল মুখার্জির নাতির!
আর্য এদিকে বাড়ি ফিরতেই, অর্ক এবং মানসী তাঁকে বাড়ির জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পুজোর কথা জানায়। অনেক লোক নিমন্ত্রন করতে হবে, এই কথা বলে মানসী। আর্য জানিয়ে দেয়, অফিসের কাউকে যেন ডাকা না হয়। নিজের ঘরে ব্যথিত হয়ে বসে থাকে আর্য, রাজলক্ষ্মী বোঝাতে গেলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আর্য। সে চায় না তার অতীতের জন্য অপর্ণার ক্ষতি হোক, তাই এই সিদ্ধান্ত।