জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছে অপর্ণার রহস্যময় আচরণ নিয়ে। রাজলক্ষ্মী জানায়, হয়তো সমস্ত ঘটনাই কাকতালীয় ভাবে ঘটেছে আর এতে অপর্ণারই বা কি করার আছে। কিন্তু আর্যর মনে একটাই প্রশ্ন– এতগুলো দরজা থাকতে হঠাৎ অপর্ণা আসতেই কেন রাজনন্দিনীর ঘরের দরজাটাই খুলে গেল?
আর্য রাজলক্ষ্মীকে বলে, এর আগেও অপর্ণা রাজনন্দিনীর পরিচয় জেনে অস্বাভাবিক আচরণ করেছে আর সেই মুহূর্তে সেটাই স্বাভাবিক ছিল, তবে হঠাৎ আজ এই ঘটনা তারপর দিক জ্ঞান শূন্য হয়ে সেই ঘরের দিকেই অপর্ণার যাওয়ার বিষয়টা মোটেই কাকতালীয় নয়, বরং নিশ্চই অপর্ণার সঙ্গে রাজনন্দিনীর কোনও যোগ আছে। রাজলক্ষ্মী আর্যকে বলেন, আর্যর সেই যোগটা আছে অপর্ণার।

রাজনন্দিনী অতীত ছিল আর অপর্ণার তার বর্তমান এবং হয়তো ভবিষ্যতও– সেটাই রাজনন্দিনী জানান দিচ্ছে। আর্য জানিয়ে দেয়, অপর্ণাকে নিয়ে সে ভবিষ্যৎ কখনওই কল্পনা করেনি। অন্যদিকে অপর্ণা বাড়ি ফিরে রুম্পাকে সবটা জানায়, কিভাবে সে ওই বাড়িতে যেতেই আবার পুরোনো স্মৃতি ভেসে এসেছে। রুম্পা অপর্ণার দুশ্চিন্তা দূর করতে বলে, অপর্ণার সতীন হবে বলে হয়তো রাজনন্দিনী ভূত সেজে ভয় দেখাচ্ছে।
রাতে অপর্ণা ঘুমোতে গেলেও সেই একই স্মৃতিগুলো স্বপ্নের আকারে দেখে ভয় পেয়ে উঠে পড়ে। পরদিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে অর্যকে মানসী অপর্ণার খোঁজ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আর ধীরে ধীরে আগের রাতের ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। ঠিক সময়ে এসে রাজলক্ষ্মী আর্যকে বাঁচিয়ে নেয় মানসীর হাত থেকে। এদিকে অপর্ণা অফিসে পৌঁছেই আর্যর সঙ্গে দেখা করতে যায়।
আরও পড়ুনঃ ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে মহানায়িকা, তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ১০০১ টাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নত হলেন! জীবনে একবারই নিজের নিয়ম ভেঙেছিলেন সুচিত্রা, কিন্তু কী কারণে?
আর্যকে গিয়ে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে তারপর বারবার স্মৃতি ভেসে আসার কথাটা জানাতে যাবে অপর্ণা, এমন সময়ে কিঙ্কর এসে পড়াতে সে চলে যায় ঘর থেকে। কিঙ্কর এবার আর্যকে অপর্ণার রাজনন্দিনীর ঘরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে, আর্য জানিয়ে দেয় যে উত্তরটা অপর্ণা ভালো দিতে পারবে আর দরকার পড়লে মীরা তো সেখানে ছিলই যে কিঙ্করকে বিষয়টা জানিয়েছে, হয়তো জিজ্ঞেস করলে বাকিটাও জানাবে।
এরপর আর্য ঠিক করে অফিসের কাজ শেষ করে সমস্ত কর্মচারীদের নিয়ে অফসাইটের কাজে যাবে। অপর্ণা আকাশ থেকে পড়ে শুনে যে, সবাই এই বিষয়ে আগে থেকে জানত সে ছাড়া। আর্য অনেক করে অপর্ণাকে রাজি করাতে থাকে যাওয়া নিয়ে। সবাই রাজি হলেও অপর্না এখনও দ্বিধায় রয়েছে, এই সুযোগ নিয়ে মীরা কথা শোনাতে শুরু করে তাকে।