জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য আর অপর্ণা সবার পরে একসঙ্গে হোটেলে ঢুকতেই সবার মধ্যে ফিসফাস শুরু হয়ে যায়। মীরা আর কিঙ্করেরও বিষয়টা একদম ভালোলাগে না। একদিকে আর্য ঘরে গিয়ে ক্লান্তি দূর করতে ফ্রেস হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, অন্যদিকে অপর্ণা নিজের ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে গিয়েই লক্ষ করে আর্যর কিছু জরুরী জিনিস তার কাছেই থেকে গেছে।
অপর্ণা তড়িঘড়ি করে আর্যকে জিনিসগুলো ফেরত দিতে যায়। আর্য সেই সময় চেঞ্জ করছিল, এবং হঠাৎ করে অপর্ণা ঘরে ঢুকে পড়াতে দু’জনেই কিছুটা অস্বস্তিবোধ করে। তাড়াতাড়ি করে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে গিয়ে মীরার সঙ্গে ধাক্কা লাগে অপর্ণার। মীরার মনে আরো সন্দেহ বাসা বাঁধে আর্য-অপর্ণার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। রাতে অফিসের সবাই মিলে এক জায়গায় জড়ো হয়ে নাচগান করবে ঠিক করে। এদিকে মীরা আর কিঙ্করেরও মাথায় একটাই জিনিস ঘুরছে, কি করে আর্যকে অপর্ণা থেকে দূরে রাখা যায়।

আর্য এসে অফিসের কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। অপর্ণা ভাবে, বিনা অনুমতিতে আর্যর ঘরে ঢুকে যাওয়ায় সে হয়তো এখনও রেগে আছে তাই দূরে দূরে থাকছে। এদিকে অফিসের সব কর্মচারীরা দুই ধরনের বিভক্ত হয়ে গানের লড়াই খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েদের দল থেকে প্রথমে অপর্ণাকে গান গাইতে বলা হয়। অপর্ণা গান গাইতে গাইতে চারপাশে আর্যকে কল্পনা করতে থাকে। অপর্ণার গান শেষ হলে ছেলে পক্ষ থেকে কারোর গানের উৎসাহ না দেখে হঠাৎ করেই আর্য গান শুরু করে।
ঘটনাচক্রে আর্যও গান গাইতে গাইতে অপর্ণাকে কল্পনা করে। গান শেষ হয়ে গেলে সবাই আর্য আর অপর্ণার প্রতিভা নিয়ে অনেক প্রশংসা করতে থাকে। এমন সময় আর্যর কাছে একটি ফোন আসে, ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যায় আর্য। অপর্ণাও সিদ্ধান্ত নেয়, এবার আর্যর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নেবে অতীতের ঘটনার জন্য। আর্য ফোনে কথা বলছে, এমন সময় একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এসে শঙ্কর বলে আর্যকে ডাকে। আর্য তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে কোনও ভুল হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ প্রথমবার ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ হয়ে বড়পর্দায় ধরা দেবেন অলোকানন্দা, স্বপ্নপূরণের মাঝেই হঠাৎ ঘটল অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা! খুশির মাঝেই ভয়াবহ প্রতারণার শিকার, এ কেমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন অভিনেত্রী? কী ঘটেছে তাঁর সঙ্গে?
কিন্তু সে বলে যে তার কোনও ভুল হচ্ছে না বরং মাধবপুরের শঙ্কর তার সামনে দাঁড়িয়ে। লোকটি নিজেকে শঙ্করের বন্ধু হিসাবে দাবি করে, সবকিছু শুনে অপর্ণার সন্দেহ হয়। আর্যকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে এড়িয়ে যায়। হোটেলের একজন কর্মচারীকে মাধবপুরের ঠিকানা জিজ্ঞেস করে অপর্না, সে জানায় পরের স্টপেজের নামই মাধবপুর। সেখানে কি লুকিয়ে আছে আর্যর অতীত? শঙ্কর থেকে আর্য হওয়ার পেছনের গল্পটাই বা কী?