জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বেটে বা কালো হলে নায়কের চরিত্র পাওয়া যেত না, একসময় আমিও শুধু ছোট চরিত্রেই সীমাবদ্ধ ছিলাম”—অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের অকপট মন্তব্যে গ্ল্যামারের আড়ালের কঠিন লড়াই প্রকাশ্যে!

বাংলা চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ রুদ্রনীল ঘোষ। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করে দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে সাফল্যের এই পথে পৌঁছনোটা এত সহজ ছিল না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজের জীবনের শুরুর দিনগুলির কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে কীভাবে গায়ের রং বা চেহারার কারণে একসময় অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে।

রুদ্রনীল জানান, আগেকার দিনে শিল্পীদের মূল্যায়ন অনেকটাই নির্ভর করত তাঁদের বাহ্যিক চেহারার উপর। বিশেষত, যারা দেখতে সুন্দর বা লম্বা-চওড়া ছিলেন, তাঁদের নায়ক বা বড় চরিত্রে কাস্ট করা হতো। আর অন্যদিকে, যাদের গায়ের রং কালো বা উচ্চতায় ছোট, তাদের জন্য থেকে যেত গুটিকয়েক নির্দিষ্ট চরিত্র—যেমন বাড়ির কাজের লোক, ড্রাইভার কিংবা ছোটখাটো সাপোর্টিং রোল। রুদ্রনীল নিজেই সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, দেখতে ভালো না হলে কাজ পাওয়া যেত না। একেবারে শুরুতে দর্শক তাকে দেখেছিলেন ছোটখাটো রোলে—যেখানে মূলত কাজের লোকের চরিত্রই জুটত তার ভাগ্যে। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি রুদ্রনীল। তিনি বিশ্বাস করতেন, অভিনয় দক্ষতাই শেষ পর্যন্ত আসল পরিচয় এনে দেবে। আর সেই বিশ্বাসকে পাথেয় করে এগিয়ে চলেছেন তিনি।

রুদ্রনীলের মতে, ঠিক সেই ছোট ছোট চরিত্র থেকেই দর্শক প্রথম তাকে চিনতে শুরু করেন। সাধারণ চরিত্র হলেও তার অভিনয় দক্ষতা দর্শকের মনে দাগ কাটে। ধীরে ধীরে তিনি প্রমাণ করে দেন যে, শুধু নায়কোচিত চেহারাই সাফল্যের নিশ্চয়তা নয়, বরং প্রতিভা আর পরিশ্রমই আসল সম্পদ। দর্শকও তাকে সেইভাবেই গ্রহণ করেন, ভালোবাসেন।

আজ তিনি বাংলা চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। নায়ক না হয়েও তার আলাদা এক জায়গা তৈরি হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। অতীতের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে রুদ্রনীল বোঝাতে চেয়েছেন—চেহারার সীমাবদ্ধতা যতই থাকুক না কেন, প্রতিভা থাকলে সঠিক সময়ে তা স্বীকৃতি পায়। তার এই অকপট মন্তব্য নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

Piya Chanda