শরতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে, চারিদিকে দুর্গাপুজোর আবহ। বাঙালির ক্যালেন্ডারে সবচেয়ে বড় উৎসবের দিনগুলি যে আসন্ন, তার আভাস মিলছে এখন থেকেই। পুজোর আগে সাজগোজ, শপিং, খাওয়া-দাওয়া আর ঠাকুর দেখা—সবটাই এই উৎসবকে ঘিরে এক অন্য মাত্রা পায়। আর এবছর সেই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে টলিপাড়ার জনপ্রিয় তারকা দম্পতি শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাসের জীবনে। কারণ, বিয়ের পর এটাই তাঁদের প্রথম দুর্গাপুজো।
পুজোর আগে-পরে কীভাবে কাটবে এই বিশেষ সময়, সেই নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। সম্প্রতি এক পাপারাৎজি ভিডিয়োতে ধরা পড়ল শ্বেতা-রুবেলের মজার আলাপ। সেখানে শ্বেতা জানান, “পুজোর আগে রুবেলের জন্মদিন।” সঙ্গে সঙ্গেই রুবেল পাল্টা বলেন, “তার আগে ওঁর জন্মদিন।” তবে কিছুটা আপত্তি জানিয়ে শ্বেতা মিষ্টি হাসিতে যোগ করেন, “তার পরে।” এই কথার ছন্দে নায়ক আবারও বলেন, “হ্যাঁ, কিন্তু পুজোর আগে তো তোমার জন্মদিন।” আসলে এবছর মহালয়ার দিনেই শ্বেতার জন্মদিন পড়েছে, যা নিয়ে স্বভাবতই আলাদা আনন্দ রয়েছে তাঁদের জীবনে।
রুবেল মজার ছলে বলেন, “হ্যাঁ, মহালয়ার দিন ওঁর জন্মদিন। আপনারা উইশ করে দেবেন। প্রতিবছরই তাই হয়।” আসলে শ্বেতার জন্মদিন মহালয়ের দিন পড়ায়, দুর্গাপুজোর শুরুটা যেন তাঁদের সংসারে আরও আনন্দময় হয়ে ওঠে। রুবেলের কথায়, “পুজোর সময়টা বাড়ি জুড়ে বেশ ধামাকা চলে।” স্বামী-স্ত্রীর এই খুনসুটি মুহূর্তই প্রমাণ করে, বিয়ের পর প্রথম উৎসব তাঁদের কাছে কতখানি বিশেষ হতে চলেছে।
তবে সবকিছুর মাঝেই কাজের চাপ কিছুটা ভোগাচ্ছে শ্বেতাকে। অভিনেত্রীর কথায়, “কাজের এত চাপ যাচ্ছে যে পুজোর শপিং করার সময় পাচ্ছি না।” অভিনয়ের পাশাপাশি শ্যুটিং শিডিউল সামলানোয় খুব একটা অবসর মিলছে না দু’জনের কারোরই। তবুও উৎসবের আবহে ছোট ছোট মুহূর্তকেই সাজিয়ে তুলতে চাইছেন তারকা দম্পতি।
বর্তমানে শ্বেতা ভট্টাচার্য অভিনয় করছেন জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কোন গোপনে মন ভেসেছে–তে, যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে নায়িকা শ্যামলীর চরিত্রে। অন্যদিকে রুবেল দাস অভিনয় করছেন তুই আমার হিরো ধারাবাহিকে, যেখানে তিনি শাক্যজিতের ভূমিকায় দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন। টেলিভিশনের দুই ব্যস্ত মুখ হয়েও ব্যক্তিগত জীবনের এই প্রথম দুর্গাপুজোকে ঘিরে তাঁদের উচ্ছ্বাস স্পষ্ট।
আরও পড়ুনঃ “দেখতে ভালো না হলে কাজ মিলত না, গায়ের রং কালো বা চেহারা খারাপ হলে হাতের কাছে থাকত শুধু কাজের লোকের চরিত্র”—অভিনেতা রুদ্রনীলের খোলাখুলি স্বীকারোক্তি!
সব মিলিয়ে বলা যায়, পুজোর আগে জন্মদিনের আনন্দ আর পুজোর সময় উৎসবের উচ্ছ্বাস—সবকিছু মিলে এবছর শ্বেতা-রুবেলের জীবনে তৈরি হচ্ছে বিশেষ স্মৃতি। কাজের চাপ যতই থাকুক, প্রথম দুর্গাপুজো যে তাঁদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, তা বলাই যায়। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব এবার রঙ ছড়াতে চলেছে এই তারকা দম্পতির নতুন সংসারেও।