জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য অপর্ণাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুণ্ডারা পিছু নিয়েছে বুঝে আর্য গাড়ি থামিয়ে মাঝপথে অপর্ণাকে সঙ্গে করে একটি মন্দিরে আশ্রয় নেয়। অপর্ণা ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এইসব ঘটনায়, অপর্ণার খালি মনে হচ্ছে যে গুণ্ডারা হয়তো তাদের খুঁজে নেবে। এমন অবস্থা দেখে আর্য মন্দিরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়।
ঠিক কিছুক্ষণ পরে মন্দিরের বাইরে থেকে কয়েকজনের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। দরজা খুলে বেরিয়ে আসতেই আর্য দেখে মন্দিরের কিছু পূজারী দাঁড়িয়ে আছে। আর্যর সঙ্গে অপর্ণাকে দেখে তাঁরা বলে, এত রাতে মন্দিরে খারাপ কাজ করতে এসেছে! বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে মন্দিরে ঢুকলে পাপা লাগবে, এমন কথাও বলেন তাঁরা। আর্য বোঝানোর চেষ্টা করে যে কি পরিস্থিতিতে সেখানে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে না তার কথা, উল্টে আঘাত করতে যায় আর্যকে মিথ্যে কথা বলার জন্য। এমন সময় অপর্ণা বলে যে, সে এবং আর্য স্বামী-স্ত্রী। এই কথা শুনে আর্য একেবারে আকাশ দিয়ে পড়ে। অপর্ণাকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে কথাটা বলতেই, অপর্ণা বলে যে শুধুমাত্র নিজেদের বাঁচানোর জন্যে এই কথা বলতে হয়েছে বাধ্য হয়েছে। এদিকে পুরোহিতরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকে, সত্যিই দু’জনে স্বামী-স্ত্রী।
মন্দিরের প্রধান পুরোহিত খারাপ ব্যাবহার করার জন্য ক্ষমা চায় আর্য-অপর্ণার কাছে, এবং তাদের মন্দিরের রাধা-মাধবের পুজোতে অংশ নিতে অনুরোধ করেন। পুরোহিত জানান, কুড়ি বছর পর একবার এই মিলনের রাত আসে। যেখানে সমস্ত বিবাহিত মানুষেরা পুজোতে মেতে ওঠেন। সেই মতো কোনও উপায় না পেয়ে দু’জনে পুজোতে যোগ দেয়। সেখানে অপর্ণা নিজেদের রাধা-মাধবের জায়গা রেখে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ “আমার কাছেই ৫ লাখ টাকা চাইছিল… আমি কী করে দেব? দিতে পারিনি”— মৃ’ত্যুর আগে চিরঞ্জিতকে ফোন করে শেষ সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়! শেষ জীবনে কি আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল অভিনেতার?
অন্যদিকে মানসী মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজনন্দিনীর ঘরের রহস্য নিয়ে। প্রথমে অপর্ণার মা-বাবার সামনে এবং তারা চলে যেতেই রাজলক্ষ্মীকে একাধিক প্রশ্ন করে মানসী। একসময় মানসী বলে, রাজলক্ষ্মীর যদি মেয় এই প্রশ্নগুলো রাখতো, তিনি কি উত্তর দিতেন না! এই কথা শুনতেই রেগে যান রাজলক্ষ্মী এবং সাফ জানিয়ে দেন যে ওই ঘরে একমাত্র আর্য ঢুকতে পারে। মানসী যদি উত্তর না পেয়ে সংসার ছাড়তে চায়, তাহলেও তিনি আটকাবেন না— জানিয়ে দেন তিনি।
বাড়ি ফিরে আবার অপর্ণার মা-বাবা চিন্তায় পড়েন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে। একদিকে অপুর বাবা কিছুতেই মনকে বোঝাতে পারছেন না, অন্যদিকে অপুর মা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছে যেন অপুর সঙ্গে আবার কোনও বড় বিপদ না হয়। হঠাৎ কিঙ্কর খোঁজ নিতে গিয়ে দেখে অপর্ণার সঙ্গেই আর্য বাড়িয়ে গেছে। মুহূর্তের মধ্যে অতীত বেরিয়ে আসা নিয়ে চিন্তায় আতঙ্কিত হয়ে পরে কিঙ্কর। এবার দেখার পলা, কিভাবে অপর্ণা মেনে নেবে আর্যর কাছ থেকে সত্যিটা শুনে।