জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমার কাছেই ৫ লাখ টাকা চাইছিল… আমি কী করে দেব? দিতে পারিনি”— মৃ’ত্যুর আগে চিরঞ্জিতকে ফোন করে শেষ সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়! শেষ জীবনে কি আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল অভিনেতার?

বাংলা চলচ্চিত্র জগত গতকাল হারাল এক প্রতিভাবান শিল্পীকে। অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণ যেন গোটা টলিউডকে শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে। বহু বছর ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। রক্তের সমস্যায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও শেষমেশ মৃত্যুকে আটকানো সম্ভব হয়নি। তাঁর প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সহকর্মীরা ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে।

অভিনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকা। তবে এবার সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে নাকি তাঁকে ফোন করেছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে তিনি বেশ অস্বস্তির কথাই শেয়ার করেছিলেন। শরীর খারাপের বিষয়টিও জানিয়েছিলেন জয়। সেই সঙ্গে নাকি চেয়েছিলেন কিছু সাহায্য।

চিরঞ্জিত জানান, “আমার কাছেই টাকা চাইছিল। কী জানি কেন? বলছিল ৫ লাখ টাকা দরকার। ট্রিটমেন্ট, কারও মাইনে বাকি আছে, নানারকম কথা বলছিল। আমি কী করে দেব? আমার কাছে তো এত টাকা নেই।” জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক অসুবিধার কথাও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। যদিও তিনি স্পষ্ট করেন, নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে কিছু করার অবস্থায় ছিলেন না।

এখানেই থেমে থাকেননি চিরঞ্জিত। তিনি বলেন, “ওর কিছু দাবিদাওয়া ছিল হয়তো। আমি বলেছিলাম বিজেপিকে বলব। অনেকে গিয়েছিল বোধহয় ওকে সাহায্য করতে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে খুব দেরি হয়ে গেল।” অভিনেতার এই কথাতেই স্পষ্ট, প্রয়াত জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ সময়ে আর্থিক সমস্যাই তাঁকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছিল। তবুও সেই সাহায্য পৌঁছাতে পৌঁছাতে যেন সময় ফুরিয়ে যায়।

চিরঞ্জিত আরও জানান, জয়কে তিনি ছোট ভাইয়ের মতোই দেখতেন। “ওর বাবার তো বিশাল কোম্পানি ছিল। আরেকটা বিয়ে করেছে শুনেছিলাম। কিন্তু ওর চলে যাওয়া খুব দুঃখের। বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেল।” শিল্পীর অকাল প্রয়াণে শুধু তাঁর পরিবার নয়, সমগ্র বাংলা চলচ্চিত্র জগতই আজ শোকে ডুবেছে। শেষ ফোনকলের এই স্মৃতি চিরঞ্জিতকে যেন আরও বেশি ভাবাচ্ছে—সময় থাকতে হয়তো যদি কিছু করা যেত, তাহলে এই বিদায়টা এতটা আকস্মিক হতো না।

Piya Chanda