জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“প্রেম নেই জীবনে, মাসি-মেসো ছাড়া পুজো আর আগের মতো নয়!”— আবেগঘন স্মৃতিতে ভাসলেন হিয়া মুখোপাধ্যায়! পর্দার গীতা এলএলবি-র হিয়া বাস্তবে এবারের দুর্গোৎসব নিয়ে কি পরিকল্পনা করছেন?

আদালতে দাঁড়িয়ে তাঁর সংলাপ যেন তলোয়ারের মতো ধারালো, দর্শকও তাতে মুগ্ধ। কিন্তু বাস্তব জীবনে একেবারেই উল্টো ছবি। ‘গীতা এলএলবি’-র (Geeta LL.B) ‘হিয়া মুখোপাধ্যায়’ (Hiya Mukherjee) পুজোর মরশুমে নিজেকে যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের মতোই রাখেন। পুজোর দিনগুলো নিয়ে হিয়ার কণ্ঠে উচ্ছ্বাস আর মনে নস্টালজিয়া। ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরোনোর স্মৃতিই আজও তাঁর সবচেয়ে কাছের। কিন্তু গীতা হওয়ার পর, হিয়ার পুজো ঠিক কেমন কাটছে? এই বছরের পরিকল্পনাই বা কী?

স্মৃতির পাতা থেকে হিয়া জানালেন, মাসি-মেসোকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখা, গলায় ঝোলানো জলভর্তি বোতল— সবকিছু যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লেই। এখন আর তাঁরা নেই, তবু হিয়ার মনে হয়, পুজোর আনন্দের মাঝে আজও তাঁর কোথাও মিশে আছেন। এভাবেই তিনি হারানো মানুষদের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে রাখেন। ফ্যাশন নিয়েও তাঁর নিজস্ব মত। আর পাঁচজনের মতো পুজোর সময় এক্সপেরিমেন্ট পছন্দ করেন না তিনি।

পুজো মানেই তাঁর কাছে শাড়ি। শাড়ির প্রতি টান এতটাই যে সারা বছরই প্রায় পরেন, তবে দুর্গাপুজোয় সেটা যেন আরও বিশেষ হয়ে ওঠে। বাজারে গেলে দোকানদাররাও জানেন কোন রঙ বা ডিজাইন তাঁর পছন্দ। সেই জন্য আলাদা করে বেছে দিতে হয় না, পরিচিত দোকানেই হিয়া খুব সহজেই নিজের পুজোর শাড়ি খুঁজে নেন। তবে ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যে এখনও পুজোর কিছুই কেনা হয়নি তাঁর। একদিন ছুটি পেলেই হিয়া পরিবারের সঙ্গে কেনাকাটা সেরে ফেলতে চান।

খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনও নিয়ম মানেন না এই কয়েকটা দিন। এমনিতেও ডায়েট তাঁর জীবনে নেই বললেই চলে। সারা বছর যেভাবে খেতে ভালোবাসেন, পুজোর সময়ও সেভাবেই খান। তাঁর কথায়, শরীরের গঠনটা সম্ভবত বাবার কাছ থেকেই পাওয়া। এমনিতেই রোগা তাই আলাদা করে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন পড়ে না। পুজোর প্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই অভিনেত্রীর গলায় স্পষ্ট আক্ষেপ।

হিয়ার কথায়, “পুজোর সময় কেউ আজ পর্যন্ত প্রস্তাব দেয়নি, অষ্টমীর অঞ্জলিতে ফুল ছুঁড়ে দিল না, কেউ পিছু নিল না!” এসব অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে আজও আসেনি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। তবু, হতাশ না হয়ে হিয়ার সবচেয়ে বড় চাওয়া প্রেম নয়, বরং মায়ের স্বপ্ন পূরণ করা। প্রতিবার মা দুর্গার কাছে নিজের জন্য কিছু চান না। তাঁর প্রার্থনা কেবল মা-বাবার সুস্থতা আর আশেপাশের সব মানুষের ভালো থাকা।

https://fb.watch/C8_IDwwcUT/

Piya Chanda