জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

একদিকে মাকে খুঁজে পাওয়ার স্বপ্ন, অন্যদিকে বিশ্বাসঘাতকতার ফাঁদ! দাদুর অনুপস্থিতি কাজে লাগিয়ে রায়ানের মায়ের ষ’ড়যন্ত্রে ফাঁসল পারুল, ব্যাগে লুকানো সোনার দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার! পারুলকে বাঁচাতে বিদেশ থেকে ফিরছে রায়ান!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুল টগরকে এক চড় মেরে সতর্ক করে দেয় যে এরপর এমন কিছু করলে সরাসরি দাদুকে জানাবে। পারুল চলে যেতেই, রায়ানের মা, কাকিমা, টগর সবাই মিলে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে শুরু করে। ঠিক করে দাদুকে দিয়েই পারুলকে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। এরপর দেখা যায় পারুল পড়তে বসেছে। হঠাৎ রায়ানের ডাক শুনে নিচে নেমে এসে পারুল দেখে যে, রায়ান ফিরে এসেছে বিদেশ থেকে।

এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসার কারণ জানতে চায় পারুল। রায়ান বলে পারুলের জন্য জীবনের সবচেয়ে দামি উপহার নিয়ে এসেছে সে। এরপর রায়ান জানায় পারুলের মাকে খুঁজে পেয়েছে, এবং সঙ্গে করে নিয়েও এসেছে। পারুল মাকে ডাকে, কিন্তু কেউ আসে না। রায়ান বলে সে ডাকলে আসবে। পারুল জানতে চায়, কিভাবে খুঁজে পেল তার মাকে রায়ান। রায়ান বলে পারুলের মতো তার মাকেও একই রকম দেখতে। একই রকম চোখ-চুল-মুখের গঠন, তিনি নিজে এসেই পারুলের মা বলে পরিচয় দিয়েছেন।

এরপরেও অনেকবার ডাকে পারুল, কিন্তু কেউ আসে না। দেখা যায় এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিল সে, ঘুম থেকে উঠেই ভোরের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার কামনা করে পারুল। বৌদি এসে বলেন দাদু চলে যাচ্ছে তাই পারুলকে ডাকছেন। পারুল গেলে দাদু জানায়, তিনি ব্যাঙ্গালোরে যাচ্ছেন অপারেশনের জন্য। রায়ানের মা, টগর এবং বাকি ষড়যন্ত্রকারীরা এই সুযোগটাই কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে। দাদু থাকছে না আর এদিকে রায়ানও বিদেশে, এবার পারুলকে তাড়ানো অনেক সহজ হবে। পারুল নিজের স্বপ্নের বিষয় রায়ানের সঙ্গে ভাগ করে ফোন।

যে লোকটি তার মা সম্বন্ধে তথ্য দিয়েছিল, পারুল সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ ভারতে সেই লোকটির সঙ্গে নিজে গিয়ে যোগাযোগ করবে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। রায়ান পরামর্শ দেয় বাড়ির কারোর কাছ থেকে ধার নিতে, কিন্তু পারুল সেটা করতে নারাজ। এদিকে সবটা লুকিয়ে শুনে নেয় টগর। রায়ানের মা আর শিরীন পারুলকে হারানোর পরিকল্পনা করে, টগরের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে। পরদিন সোনার দোকানে বৌদি আর পারুল মিলে সবকিছু সুন্দরভাবে সামলে নেয়।

আরও পড়ুনঃ “চরিত্র ছোট বা বড়, সেটাই আসল বিষয় না”—তুখোর অভিনেত্রী হয়েও ক্রমাগত পার্শ্বচরিত্রে! কেন প্রধান চরিত্রে থাকেন না শ্রীতমা ভট্টাচার্য? নিজের অভিনয় জীবন অকপট অভিনেত্রী !

রায়ানের মায়ের ঠিক করা লোককে মনজিৎ একটি গয়নার বাক্স দিয়ে বলেন পারুলকে তুলে রাখার জন্য দিয়ে দিতে। সেই ব্যক্তি সবার চোখের আড়ালে গয়নাটা বাক্স থেকে সরিয়ে পারুলের ব্যাগে লুকিয়ে রাখে। রায়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত পারুল কিছুই লক্ষ্য করে না। পরদিন সোনার গয়না খুঁজে না পাওয়া যেতেই টগর পুলিশ ডেকে তল্লাশি করার। পারুলের ব্যাগ থেকে সোনা উদ্ধার হওয়ার পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। হুঁশিয়ারি দিয়ে যায় পারুল যে, একবার সে ছাড়া পেলে সবাইকে ঠিক শাস্তি দেবে।

Piya Chanda