ছোটপর্দার বেশ কিছু জনপ্রিয় মুখেরা চলতি বছরে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে– দিব্যজ্যোতি দত্ত, আরাত্রিকা মাইতি, অলকানন্দা গুহদের নাম। সেই তালিকায় এবার জুড়তে চলেছে আরও এক নাম। বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ ‘দিব্যাণী মণ্ডল’ (Divyani Mondal) এবার বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, ‘ফুলকি’ (Phulki) এবার সিনেমার জগতে পা রাখতে চলেছেন। অবশেষে খবরটি সত্যি হলো।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর উপন্যাস ‘পথের দাবী’ প্রকাশের শতবর্ষ উপলক্ষে তৈরি হতে চলেছে সৃজিতের নতুন ছবি ‘এম্পারর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’। আর সেই ছবিতেই থাকছেন দিব্যাণী। দর্শকের কাছে যাঁর পরিচয় এতদিন ছিল ছোটপর্দার নায়িকা, তিনিই এবার পা রাখছেন ভিন্ন আঙ্গিকে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে। দিব্যাণী ছাড়াও ছবির কাস্টিং ইতিমধ্যেই বেশ আলোচনায়। টোটা রায়চৌধুরী, আবীর চট্টোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার। পাশাপাশি দিব্যাণী বড়পর্দার একেবারেই নতুন।
তবে এই অপ্রত্যাশিত সুযোগ তাঁকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে, এই নিয়ে দর্শক মহলে কৌতূহল প্রবল। ছোটপর্দায় যাঁরা দর্শকের মন জয় করেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ যখন বড়পর্দায় সুযোগ পান, তখন তা নিঃসন্দেহে ইন্ডাস্ট্রির পক্ষেই ভালো। দিব্যাণীর ক্ষেত্রেও হয়তো তেমনটাই ঘটতে চলেছে। এই ছবির মাধ্যমে শুধুই যে দিব্যাণীর সিনেমায় অভিষেক হচ্ছে তা নয়, বড় চমকও বটে। কারণ ছোটপর্দা থেকে সরাসরি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যে কোনও অভিনেত্রী জন্য বড় দায়িত্বের পাশাপাশি বিরল এক সৌভাগ্যের মুহূর্ত।
দর্শক মনে করছেন, এই পদক্ষেপ শুধু দিব্যাণীর কেরিয়ারে নয়, সমগ্র টেলিভিশন জগতকেই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। বাংলা ছবিতে টাটকা মুখের প্রয়োজনীয়তার কথা বহুবার বলা হয়েছে, সেই চাহিদা পূরণের দিকেই একধাপ এগোলেন পরিচালক। দর্শক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। অনেকের মতে, টেলিভিশনের পরিচিত মুখেরা বড়পর্দায় সুযোগ পেলে, দর্শক আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কারণ তাঁরা সেই পরিচিত মুখকেই নতুন আলোয় দেখতে চান।
আরও পড়ুনঃ একদিকে মাকে খুঁজে পাওয়ার স্বপ্ন, অন্যদিকে বিশ্বাসঘাতকতার ফাঁদ! দাদুর অনুপস্থিতি কাজে লাগিয়ে রায়ানের মায়ের ষ’ড়যন্ত্রে ফাঁসল পারুল, ব্যাগে লুকানো সোনার দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার! পারুলকে বাঁচাতে বিদেশ থেকে ফিরছে রায়ান!
দিব্যাণীর নাম ঘোষণার পর থেকে একাধিক ভক্ত সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “ফুলকির মতো মিষ্টি চরিত্রের পর এবার তাঁকে অন্য রূপে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।” অন্যজনের মতে, “নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দেওয়ার এই উদ্যোগ বাংলা ছবির ভবিষ্যতের জন্য খুব জরুরি।” তবে দিব্যাণীর জন্য যাত্রাপথ সহজ নয়। বড়পর্দার ভাষা ও গতি ছোটপর্দার চেনা ছকের থেকে অনেকটাই আলাদা। নভেম্বর থেকে শুরু হবে শুটিং। সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী বছর শতবর্ষের আবহে মুক্তি পাবে এই ছবি। ছোটপর্দার প্রিয় মুখ এবার বড়পর্দায় কতটা উজ্জ্বল হন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।