জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা আর্যর কাছে অনুরোধ করছে যেন বাড়িতে সবাইকে বলে দেয় তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে। অপর্ণা বলে এখনও হাতে সময় আছে সবটা আটকে দেওয়ার, আর্যকে ভুলে হিন্দোলের বউ হতে পারবে না সে। এদিকে আর্য বুঝতে পারে না কী করবে। স্বপ্নের মতো যদি বাস্তবেও সতীনাথের কিছু হয়ে যায় সত্যিটা বললে, এটা ভেবেই আর্য মুখ বন্ধ করে থাকে।
তারপর অপর্ণা বলে সে যতদিন সম্ভব নিজেকে সবকিছু থেকে আগলে রাখবে, কিন্তু শেষে আর্যকেই কিছু একটা করতে হবে। এরপর নিজের পোড়া হাত দুটো দেখিয়ে অপর্ণা বলে যে, হিন্দোলের মায়ের আশীর্বাদের বালা পরবে না বলে সে নিজের হাত পুড়িয়েছে। এই দেখে আর্যর খুব কষ্ট হয় এবং সে কথা দেয় যে অপর্ণাকে অন্য কারোর হতে দেবে না। এবার যা করার আর্য করবে, শুধু অপর্ণাকে একটু চুপচাপ থাকতে বলে বাবার কথা ভেবে।
এদিকে দু’জনের কথার মাঝে হিন্দোল এসে উপস্থিত হয়। সে আর্যকে বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে চায়, কিন্তু দু’জনের ব্যক্তিগত কথার মধ্যে তার থাকা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করে অপর্ণা। হিন্দোল ফিরে যায় একা। এরপর আর্য চলে যেতেই অপর্ণার মা মেয়েকে বলেন, হিন্দোল এর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আর্যকে ভুলে যেতে। অপর্ণাও জানিয়ে দেয় যে, বিয়ে হলে তার শরীর হয়তো যাবে কিন্তু আত্মাটা মরে যাবে। অপর্ণার মা বুঝতে চেয়েও মেয়েকে, না বোঝার ভান করে থাকেন।
তিনি নিজেকে বোঝাতে বলেন, উনিশ বছরে বিয়ে করে এসেছিলেন। তারপর থেকেই সংসার করছেন। স্বামীকে শরীর, মন সবই দিয়েছেন। অপর্ণার নতুন সংসারে গিয়ে সব ভুলে যাবে। এদিকে ঘরে ফিরতেই অপর্ণা শোনে হবু শাশুড়ি বলছেন, বিয়ের পর আর কাজ করা যাবে না। বিদেশে গিয়ে সংসার করতে হবে। যদিও হিন্দোল আপত্তি জানিয়ে বলে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাড়িতে আটকে থাকবে না অপর্ণা।
আরও পড়ুনঃ ‘ফুলকি’র মুকুটে নয়া পালক! ছোটপর্দা ছেড়ে এবার বড় পর্দায় দিব্যাণী মণ্ডল! সৃজিত মুখার্জির ছবিতে ডেবিউ করছেন নায়িকা!
বরং ঠিক একটা কাজ খুঁজে নেবে সে বিদেশেও। দরকার পড়লে হিন্দোল তার হাসপাতালের পাশের স্কুলে অপর্ণাকে শিক্ষকতার সুযোগ করে দেবে। অন্যদিকে মীরা কিঙ্করকে জানায় অপর্ণার বিয়ে অন্য কারোর সঙ্গে ঠিক হয়েছে বলে কতটা খুশি সে। কিঙ্করকে যদিও সাবধান করে দেয়, বিয়ে এখনও হয়নি বলে। আর্য খুব চিন্তায় যে কি করে অপর্ণাকে বাঁচাবে। রাজলক্ষ্মী পরামর্শ দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপর্ণাকে সিংহ রায় বাড়ি নিয়ে আসতে হবে।