টলিউডের প্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি রাজনৈতিক জগতে প্রবেশ করেছেন এবং হুগলি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জিকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই জয় শুধু তার রাজনৈতিক শক্তি নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ও আস্থা প্রকাশ করেছে।
রাজনীতিতে প্রবেশের পাশাপাশি, রচনা টেলিভিশনের ‘দিদি নম্বর ১’ শোয়ও যুক্ত রয়েছেন। শোটি তার কাছে শুধুই বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং শিক্ষারও এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেছেন, “দর্শকের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমাকে সবসময় শক্তি জোগায়। শোটি নিয়ে এখনো আমি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।” তার এই মন্তব্য দর্শকদের সঙ্গে তার সম্পর্ককে অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।
অভিনয় এবং রাজনীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে রচনা নিজের দায়িত্ব ও ভালোবাসা বজায় রেখেছেন। টেলিভিশনের দর্শকরা যেমন তার অভিনয়কে উপভোগ করছেন, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক জীবনে তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
২০০৭ সালে রচনা মা হন এবং সেই সময়ে তিনি কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, “বাচ্চার জন্য সময় দেওয়াই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল। তাই তখন থেকে আমি নিজের কাজ সাময়িকভাবে থামাই।”এর পরবর্তী সময় জি’র তরফ থেকে তার কাছে অফার আসে কিন্তু প্রথম অবস্থাতে তিনি সিনেমা ছেড়ে টেলিভিশনে আসতে চাইনি কিন্তু পরবর্তী সময় তো সিদ্ধান্ত পাল্টায় এবং তিনি জানিয়েছেন দিদি নাম্বার ১ থেকেই তিনি বহুল জনপ্রিয়তা এবং মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। এই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত তাকে মাতৃত্ব এবং পেশাজীবনের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুনঃ পো’ড়া হাত দেখিয়ে অপর্ণার আর্তি, বাঁচানোর প্রতিজ্ঞা করল আর্য! দু’জনের কথার মাঝে বিয়ের নিমন্ত্রণ নিয়ে হাজির হিন্দোল! মায়ের চাপে দমছে না অপর্ণা, জানিয়ে দিল নিজের শর্ত! রাজলক্ষ্মীর নতুন পরিকল্পনা কি কাজে দেবে?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যাত্রা প্রমাণ করে, একজন মা, অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তিনি দেখিয়েছেন, ভালোবাসা, দায়িত্ব এবং পেশাদারিত্ব একসঙ্গে মিলিয়ে জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায়। ভক্তরা আশা করছেন, তিনি তার নতুন রাজনৈতিক জীবন এবং টিভি শো—উভয় ক্ষেত্রেই সমানভাবে সফল হবেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নতুন অধ্যায়ের মাধ্যমে সকলকে শেখাচ্ছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও আন্তরিক মনোভাব থাকলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।