জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মনোজিৎ ব্যাঙ্গালোর যাবে বলে তৈরি হচ্ছে। সোনার দোকান নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন তিনি যে, কিভাবে ত্বরিতা আর পারুল একা একা সবটা সামলাবে। তিনি পরামর্শ দেন, দরকারে একদিন দোকান বন্ধ রাখতে। হঠাৎ করে রায়ানের মা এসে মনোজিৎকে বলে, বাড়িতে কোনও অভিভাবক নেই আর এমনিতে ও সোনার দোকানে কিছুদিন আগে যা ঘটল তাতে করে হিসেবটা মিলিয়ে দেখে যেতে।
ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও সমস্যা না হয়। এরপর ত্বরিতা আর মনোজিৎ মিলে বিক্রির হিসেব মেলাতে শুরু করে। একপর্যায়ে হিসেবে কিছুতেই মেলে না। দেখা যায় তিনি লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে। সিসিটিভি ফুটে চেক করতে গিয়ে মনোজিৎ দেখে, যে তিন লাখ টাকার গয়না পাওয়া যাচ্ছে না সেটা পারুল নিজের ব্যাগে ঢোকাচ্ছে। কারোর কোনও কথা না শুনে রায়ানের মা তৎক্ষণাৎ পারুলকে বাড়ি দিয়ে বের করে দেবে ঠিক করে।
পারুল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার হাজার চেষ্টাও তিনি শোনেন না। উল্টে পারুলের বোন টগর বলে, তার দিদি ছোটবেলা থেকেই মাছ-পেয়ারা এসব চুরি করে হাত পাকিয়েছে। পারুল বলে সেগুলো শুধুমাত্র বোনের জন্যই চুরি করত, সে ভালোবাসতে বলে। তাই বলে নিজের দোকানের গয়না কখনোই চুরি করবে না পারুল। মনোজিৎ, ত্বরিতা এবং মল্লার কেউ বিশ্বাস করে না যে পারুল এমন করতে পারে। পারুলের ঘর খুঁজে তার ব্যাগ থেকেই গয়নাটা উদ্ধার হয়।
এরপরেও মনোজিৎ বলে পারুলকে কেউ ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে যান, এই বিষয়ে পারুলকে কি শাস্তি দেওয়া হবে সেটা আশুতোষ বসু এসেই ঠিক করবেন। কিন্তু নিজের পরিকল্পনায় জল ঢালা হয়ে যাচ্ছে বুঝে, রায়ানের মা ঠিক করে পারুলকে তিনিই শাস্তি দেবেন। সবাই চলে যেতে বাড়িতে পুলিশ ডাকেন তিনি আর পারুলকে গ্রেফতার করিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ কিঙ্করের পরামর্শে ক্ষুব্ধ আর্য, মীরার সান্তনা উল্টে আগুনে ঘি! রাজলক্ষ্মীর কথায় সাহস ফিরে পেল আর্য, অপর্ণার বাবাকে জানাল মনের কথা! সতীনাথের কাতর অনুরোধ, মেয়ের জীবন থেকে চলে যেতে হবে আর্যকে!
পারুলের এই পরিণতি হয়েছে জেনে মনোজিৎ তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন। রায়ানের মাকে তিনি জোর করে অভিযোগ তুলতে নিয়ে যান থানায়। পারুল নিজের মাথার দিব্যি দিয়ে, রায়ান যাতে কিছু না জানে সেই কথা বলে। আর কেউ দয়া করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিক, এটাও চায়না পারুল। উল্টে নির্দোষ প্রমাণ করে নিজেকে, আসল দোষীকেই শাস্তি দিতে চায় সে।