জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য খুব ভেঙে পড়েছে অপর্ণার বিয়ে অন্য কারোর সঙ্গে ঠিক হয়ে যাওয়ায়। অফিসের সবাই বাড়ি চলে গেলেও, আর্য সেখানেই থেকে যায়। মীরা চিন্তিত হয়ে আর্যকে জিজ্ঞেস করতে আসে। সান্তনা জানিয়ে মীরা বলে, অপর্ণার মা-বাবা যেহেতু বিয়েটা ঠিক করেছে, অপর্ণার কিছু করার নেই এতে।
বরং আর্যকে এবার একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর্য রেগে গিয়ে মীরাকে বলে সে কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা নিয়ে মীরা যেন চিন্তা না করে, আর্য মীরাকে তার জীবন থেকে দূরে থাকতে বলে। এরপর কিঙ্কর আর্যকে ওই একইভাবে সান্তনা দিতে থাকলে, আবার আর্য রেগে যায় আর বলে যে কিঙ্করের থেকে সে এটা আশা করেনি। উল্টে আর্য ভেবেছিল কিঙ্কর তার পাশে দাঁড়াবে, কিন্তু সেটা না করে অপর্ণার থেকে দূরে যেতে বলেছে। কিঙ্কর জানায় এটাই আর্যর জন্য ভালো।
আর্য স্পষ্ট করে বলে দেয় কিঙ্করকে যে ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে কোনও বাড়তি পরামর্শ না দিতে। কিঙ্কর চলে যেতেই, সেখানে রাজলক্ষ্মী আসেন। আর্যকে তিনি বলেন, এখনও দেরি হয়নি, অপর্ণার বাবাকে সবটা জানাতে। আর্য ভয় পাচ্ছে, যদি আরও অসুস্থ হয়ে যায় অপর্ণার বাবা সত্যিটা জেনে। কিন্তু রাজলক্ষ্মী নিজের বিশ্বাস থেকে বলেন, তারা সুন্দরী মায়ের ভবিষ্যৎবাণী আর নিজের অনুভূতি ওপর ভরসা করে সে বলছে অপর্ণার সঙ্গেই আর্যর ভবিষ্যৎ আগে থেকে ঠিক করা।
না হলে বারবার অপর্ণার কাছেই ফিরে যাওয়া, বাড়ির যে ফুল গাছে কোনদিনও ফুল ফুটতো না সেই গাছে ফুল ফোটা। রাজলক্ষ্মীর মতে, এগুলো ইঙ্গিত ছাড়া আর কিছু না। আর্যকে তিনি বলেন, অপর্ণাকে সিংহ রায় বাড়ি আসতেই হবে এটাই তার ভবিতব্য। আর্য সাহস করে অপর্ণার বাবাকে ফোন করে জানায় কিছু কথা বলার আছে। এদিকে অপর্ণা একদম চুপচাপ হয়ে গেছে। বাবা-মায়ের কোনও কথার উত্তর দিচ্ছে না সে।
আরও পড়ুনঃ পরিচিত জনের কাছে প্রতা’রণার ফাঁদে সুদীপা চ্যাটার্জি! হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক, হা’রালেন লক্ষাধিক টাকা! সাবধান হন আপনিও
অপর্ণার মা বিয়ে নিয়ে কথা তুললেই অপর্ণা বলে যে, সবটা সে সময়ের উপরেই ছেড়ে দিয়েছে। মনমরা হয়ে ছাদের গিয়ে আর্যর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে অপর্না। কিছুক্ষণ বাদে রুম্পা এসে খবর দেয় আর্য এসেছে। আর্য এবার কোনও ভয় ছাড়া অপর্ণার বাবাকে নিজের ভালোবাসার কথা জানায় আর অনুরোধ করে অপর্ণাকে তার সঙ্গেই বিয়ে দিতে। অপর্ণার বাবাও হাত জোড় করে আর আর্যকে বলে তার মেয়ের জীবন থেকে চলে যেতে।