জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, রায়ান খুব খুশি হচ্ছে ভেবে যে এবার এতদিন ধরে তার মায়ের মনে পারুলের জন্য নিজের রাগ পুষে রাখা ছিল, সেটাই এবার জেতার জন্য জেদ হয়ে বেরিয়ে আসবে। বাড়ির যেহেতু কেউ জানে না, কার সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেবে ভাবতে থাকে সে। এরপর রুক্মিণীকে ফোন করে সবটা জানায় রায়ান।
রুক্মিণী মাকে অভিনন্দন জানায়, অবশেষে বাড়ির বাইরে পা রাখার জন্য। মনে মনে রায়ানের মা এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছেন যে ভাবছেন, এত বছর বাদেও প্রথম সুযোগে বাজিমাত করে দিয়েছে যখন পারুল কেও হারিয়ে দেবে সহজে। অন্যদিকে, লড়াইয়ের ময়দানে নেমে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় পারুলও। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিযোগিতার প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়।

প্রতিযোগিতার এই পর্যায়ে সবাই নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরবেন মঞ্চে। যথারীতি একের পর এক প্রতিযোগী নিজেদের সেরাটা দিতে থাকেন মঞ্চে। রায়ের মা কিছুটা ভীত হয়ে পড়েন বাকি সবার প্রতিভা দেখে। রায়ান মাকে সাহস জোগাতে থাকে। অবশেষে তিনি মঞ্চে উঠে গান গাইতে শুরু করেন। মুহূর্তেই সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যায় তাঁর গানে। রায়ান নিজের মাকে নিয়ে গর্ববোধ করতে থাকে।
পারুলও ভাবতে থাকে যে এত সুন্দর গলা আর প্রতিভাকে কেউ চাপা দিয়ে দিলে, তার রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। গান শেষ হতেই বিচারকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাঁকে। তারপর সর্বশেষ প্রতিযোগী হিসেবে পারুল মঞ্চে ওঠে না নাচ করতে। পারুলের নাচ শুরু হতেই সবাই আবারও মুগ্ধ হয়ে যায়, আর রায়ান অবাক হয়ে দেখতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ হিন্দোলের মুখোশ খুলে গেল এবার! একদিকে আর্যর ভরসা ফেরানোর চেষ্টা, অন্যদিকে বিয়ে ভাঙতে রাজি হয়েও, হিন্দোলের প্রতার’ণায় দিশাহারা অপর্ণা! পারবে কি সে সবার সামনে হিন্দোলের আসল রূপ বের করে আনতে?
নাচতে নাচতে পারুলের চোখ হঠাৎ রায়ানের দিকে গেলে, কল্পনার জগতে হারিয়ে যায় যে। রায়ানকে নিজের আশেপাশে কল্পনা করে নাচতে শুরু করে পারুল। নাচ শেষ হতেই বিচারকরা আবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যান পারুলের। রায়ানের মা রেগে যেতে শুরু করেন এইসব দেখে। অবশেষে চারজন প্রতিযোগী বাদ যাবার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায় পারুল আর রায়ানের মা।