জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণার বাড়িতে এসেছেন রাজলক্ষ্মী। তিনি অপর্ণাকে একবার চেষ্টা করতে বলেন হিন্দোলকে বিয়ে করার আগে, কারণ আর্য ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অপর্ণাও নিজের মুখেই স্বীকার করে যে, সেও ভালো নেই। তার অমতেই বিয়েটা হচ্ছে। তবে, হিন্দোলকে কোনও দিন ভালোবাসতে পারবে না।
অপর্ণা বলে যে এতদিন ভবিতব্যর উপরে সবটা ছেড়ে দিয়েছিল, কিন্তু এবার সে নিজেই লড়বে ভালোবাসার জন্য। রাজলক্ষ্মী চলে যেতেই, সতীনাথ এসে জানায় যে অপর্ণার বিয়ে কার্ড ছাপানো হয়ে গেছে। অন্যদিকে আর্য একা ঘরে বসে অপর্ণার কথাই ভেবে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর অপর্ণা ফোন করে দেখা করতে চায়, শেষবার কিছু বলার জন্য। আর্য প্রথমে আপত্তি করলেও, পরে রাজি হয়ে যায়।
অপর্ণার মা আড়াল থেকে সবটা শুনে নেন। এরপর অপর্ণা আর্যর সঙ্গে দেখা করে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলতে থাকে, কিন্তু আর্য তাঁকে জানিয়ে দেয় অভিভাবকের অমতে সে সংসার পাততে পারবে না। আর্য বলে যে মা-বাবার থেকে বড় কেউ হয় না, তারা যা করে সেটা ঠিক। অপর্ণা কষ্টে শেষ বিদায় জানিয়ে চলে যায় কাঁদতে কাঁদতে।
লুকিয়ে সবটা শুনে অপর্ণার মাও ভেঙে পড়েন। তিনি ভাবতে থাকেন মেয়ের জীবন হাতে করে নষ্ট করে দিচ্ছে তারা। বাড়ি গিয়ে সতীনাথকে একবার ভেবে দেখতে বলেন তিনি অপর্ণার বিয়ের কথা, কিন্তু সতীনাথ নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। সে যেমন করেই হোক অপর্ণার সঙ্গে হিন্দোলের বিয়ে দেবেন। অপর্ণার মা সন্দেহ প্রকাশ করে হিন্দোলকে নিয়ে, তাও কোনও লাভ হয় না।
এদিকে অপর্ণা হিন্দোলকে ফোন করে সকাল নয়টায় বাড়ি আসতে বলে। হঠাৎ অপর্ণার মুখে এমন কথা শুনে হিন্দোল অবাক হয়ে যায়। পরদিন অনেক সকালে অপর্ণা তৈরি হয়ে নেয় বেরোনোর জন্য। হিন্দোলও সময় মতন এসে পৌঁছায়। দু’জনে একসঙ্গে কথায় যাচ্ছে সতীনাথ জানতে চাইলে অপর্ণা বলতে আপত্তি করে। শেষে দেখা যায়, আর্যদের বিয়ের কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করতে গেছে সে।