জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, রাজলক্ষ্মী আর্যকে বারবার অনুরোধ করতে থাকে, অপর্ণাকে ওই মিথ্যে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া থেকে আটকাতে। তিনি এটাও বলেন যে, আর্য সিংহ রায় চাইলে কী না করতে পারে আর সামান্য একটা বিয়ে আটকাতে পারবে না! আর্য জানায়, তার নামের সঙ্গে সিংহ রায় জুড়ে থাকায় অনেক ক্ষমতা আছে তার নিঃসন্দেহে।
কিন্তু সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে কারোর বিয়ে ভাঙতে পারবে না। আর শুধু অপর্ণা ছাড়াও এর সঙ্গে অপর্ণার মা-বাবাও জড়িয়ে আছেন। তাঁদের চাওয়া-পাওয়াকে অসম্মান করে আর্য কিছুতেই অপর্ণার সঙ্গে সম্পর্কটা রাখতে চায় না। আক্ষেপ নিয়ে আর্য জানায়, এর আগেও অনেকবার প্রিয় জিনিস হারিয়েছে। ভেঙে পড়ে আবার উঠেও দাঁড়িয়েছে, তবে এইবার অপর্ণাকে হারানোর কষ্টটা একটু বেশীই হচ্ছে। রাগে আর কষ্টে আর্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে থাকে।

রাজলক্ষ্মী ছেলের এই অবস্থা দেখে প্রতিজ্ঞা করেন, কী করে অপর্ণার বিয়ে হয়ে সেটাই তিনি দেখবেন। অন্যদিকে অপর্ণা বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে জানায়, আর্যদের নিমন্ত্রণ করে এসেছে। অপর্ণার বাবা শুনে খুব খুশি হন, এই তিনিও বাকিদের নিমন্ত্রণ করার কাজে লেগে পরেন। হঠাৎ রুম্পা এসে অপর্ণাকে ডেকে নিয়ে যায় কিছু কথা বলার জন্য। রুম্পা অপর্ণাকে অনুরোধ করে বিয়েটা না করতে, কিন্তু অপর্ণা জানায় যে আর সেটা হবে না। কারণ, অপর্ণা জী’বিত নেই।
যেটা এখন বেঁচে আছে আর কথা বলছে, সেটা শুধুই অপর্ণার শরীর। আত্মাটা ম’রে গেছে, বিয়ে করলেও এই মৃ’ত শরীরটাই করবে। অপর্ণার মুখে এসব কথা শুনে, জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে রুম্পা। লুকিয়ে সবটা দেখে অপর্ণার মা। তিনি মনে মনে ভাবেন, সামান্য বন্ধু হয়ে রুম্পা অপর্ণার জন্য কাঁদছে। আর তিনি নিজে মা হয়েও মেয়ের পক্ষ না নিয়ে পাষাণের মতো শক্ত হয়ে রয়েছেন। পরদিন অপর্ণার আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়। হঠাৎ করে হিন্দোলের মা এসে উপস্থিত।
আরও পড়ুনঃ প্রতিযোগিতার মঞ্চে মৌসুমীর আত্মবিশ্বাস ভেঙে চুরমার, দুই মিনিটেই অসম্ভবকে সম্ভব করল পারুল! বিজ্ঞান বনাম অভিজ্ঞতা, পারুলের ফিজিক্সের জাদুতেই হার মানল মৌসুমীর কৌশল! ফাইনালে এবার কী হবে?
তিনি গয়না দিয়ে অপর্ণাকে আশীর্বাদ করতে চান। অপর্ণা সবকিছু প্রত্যাখ্যান করে জানায়, বিয়ের আগে সে কিছুই নিতে পারবে না। এই কথায় অপর্ণার হবু শাশুড়ি মনঃক্ষুণ্য হন। অন্যদিকে আর্য সারাদিন ধরে অপর্ণার স্মৃতিতেই ডুবে আছে। কিঙ্কর বারবার আর্যর মনের ক্ষতটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিঙ্কর আর্যকে বারণ করে যে, অপর্ণার বিয়েতে না যেতে। কিন্তু আর্য কারোর কথা শোনে না। লুকিয়ে লুকিয়ে অপর্ণার বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে থাকে।