জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

প্রতিযোগিতার মঞ্চে মৌসুমীর আত্মবিশ্বাস ভেঙে চুরমার, দুই মিনিটেই অসম্ভবকে সম্ভব করল পারুল! বিজ্ঞান বনাম অভিজ্ঞতা, পারুলের ফিজিক্সের জাদুতেই হার মানল মৌসুমীর কৌশল! ফাইনালে এবার কী হবে?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আজকের দশভূজা প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ড জিতে নেয় পারুল আর মৌসুমী। দ্বিতীয় রাউন্ডে বলা হয়, প্রত্যেক প্রতিযোগীকে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে রান্নাঘরে। এই কথা শুনে মৌসুমী খুব খুশি হয়ে যায় ভেবে যে, সে এত বছর সংসার করে আসছে বলে অনেক রকম অভিজ্ঞতাই আছে তার কাছে। আর পারুল পড়াশোনায় ভালো হলেও বাড়ির কাজ খুব একটা পারে না।

তাই মৌসুমীভাবে সহজেই দিতে যাবে সে আর নাক কাটিয়ে বাড়ি ফিরবে পারুল। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হলে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে দেওয়া হয় তেল ভর্তি মাংসের পাত্র। বলা হয়, মাংসের ঝোল থেকে তেল সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে মাত্র দুই মিনিট সময়ে। কিন্তু তেলের সঙ্গে যেন কিচ্ছু না থাকে, প্রয়োজনে তাদের চাওয়া যেকোনও সামগ্রী দেওয়া হবে। কেউ বাটি চায়, তো কেউ পাউরুটি।

মৌসুমী টিস্যু পেপার চায়, কিন্তু পারুল চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। রায়ান চিন্তায় পড়ে যায়, পারুল কি তাহলে হেরে যাবে! মৌসুমী আনন্দ পেতে থাকে, পারুল করতে পারছে না বলে। কিছুক্ষণ পর পারুল একবারটি বরফ চায়। তারপর সেই বরফের বাটি মাংসের মধ্যে রেখে দেয় পারুল। বিচারকরা অবাক এই কান্ড দেখে। অন্যরা এদিকে হিমশিম খাচ্ছে তেল আলাদা করতে গিয়ে।

সময় শেষ হতেই বিচারকরা এসে একে একে প্রতিযোগীদের বাদ দিতে থাকেন। মৌসুমির কাছে এসে তারা দেখেন টিস্যু পেপার দিয়ে তিনি সমস্ত তেল তুলে নিয়েছেন মাংস থেকে। পারুলের কাছে যেতেই তারা আবার অবাক হয়ে যায়। মাংসের সব তেল বরফের বাটির গায়ে শক্ত হয়ে জমে আছে! পারুলের এই বুদ্ধি দেখে কারণ জানতে চায়, এটা কী করে মাথায় এলো তাঁর?

পারুল বলে ফিজিক্স তার পছন্দের বিষয়। সেখান থেকেই বুদ্ধি নিয়ে এটা করেছে। নিঃসন্দেহে পারুল পরবর্তী রাউন্ডে উঠে যায়। আতঙ্কে পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত মৌসুমীও সেই রাউন্ডে উঠে যায়। রায়ান বেজায় খুশি, মা আর বউকে নিয়ে। সেমিফাইনাল রাউন্ডে বলা হয় সবাইকে নিজেদের মতো করে দুর্গা সাজতে হবে। আর ব্যাখ্যাও দিতে হবে সেই সাজ নিয়ে। এবার দেখা যাক, ফাইনালে কে জেতে!

Piya Chanda