জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল রাউন্ডে উঠে গেছে পারুল আর মৌসুমী। মোট চারজন প্রতিযোগীকে এই রাউন্ডে বলা হয় নিজেদের মতো করে দশভূজা সাজতে। কিভাবে তারা মা দুর্গাকে দেখেন, সেইটাই এই রাউন্ডে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তার সঙ্গে ব্যাখ্যাও দিতে হবে। রায়ান খুব চিন্তায় পড়ে যায় ভেবে, একদিকে পারুল ঠিকমতো সাজতে পারে না। অন্যদিকে, মা ঠিকমতো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না।
এরপর যে যার মতো করে তৈরি হয়ে নেয়। প্রথমেই বাকি দুজন প্রতিযোগী নিজেদের সাজ এবং ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারকদের মন জয় করে নেয়। রায়ান আরও চিন্তায় পড়ে যায়। এরপর মৌসুমিকে মঞ্চে ডাকা হয়। পরনে লাল শাড়ি, এলো চুল আর ডাকের সাজ। দর্শক থেকে বিচারক সবাই মুগ্ধ হয়ে যায় তাঁর সাজে। ব্যাখ্যা হিসেবে মৌসুমী বলে যেহেতু বনেদী পরিবারের বউ তিনি, তাই ডাকের সাজকেই বেছে নিয়েছেন। এমন একটা পরিবারের সদস্যদের দশ হাতে দশ দিক সামলাতে হয়।
আর এটাই হচ্ছে তাঁর চোখে দশভূজা। এরপর পারুল মঞ্চে আসে। পরনে হাঁটুর উপরে লাল পাড় সাদা শাড়ি, এলো চুল, গায়ে কলকা আঁকা এবং একহাতে দাঁ, অপর হাতে পদ্ম ফুল। সবাই প্রথমে কিছুটা অবাক হয়ে যায় এমন সাজ দেখে। তারপর পারুল ব্যাখ্যা করে জানায়, সে এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে। আজও শহরে গ্রামের মেয়েদের মানিয়ে নিতে অনেক সময় লাগে। অপমান, লাঞ্ছনা সহ্য করেই অনেক কষ্ট করতে হয় তাদের। অথচ, তারা শহরের লোকেদের থেকে বেশি দক্ষ অনেক ক্ষেত্রেই।
দশভূজা প্রসঙ্গে পারুল বলে, মেয়েদেরও যেমন ভগবান দুটো হাত দিয়েছে, ছেলেদেরও দুটো হাত দিয়েছে। সুতরাং মেয়েদের উপর দশভূজা হওয়ার দায়ভার না চাপিয়ে, ছেলে এবং মেয়ে উভয়কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা উচিত। বিচারকরা একেবারে মুগ্ধ হয়ে যায় তার এই ব্যাখ্যাতে। এরপর সরাসরি ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছে পারুল আর মৌসুমী। পারুলকে কিছুতেই জিততে দেবে না বলে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে মৌসুমী। শিরীনকে ফোন করে সবটা জানায় সে।
আরও পড়ুনঃ অপর্ণার হৃদয়ভাঙা কান্না দেখেও পাষাণের মতো স্থির থাকলেন সুমি! হবু শাশুড়ির গয়না ফিরিয়ে দিয়ে অপর্ণার সাহসী পদক্ষেপে ক্ষোভ, কিঙ্করের বারবার বাধা সত্ত্বেও অপর্ণার বিয়েতে হাজির হল আর্য!
শিরীনও নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পারুলকে অপদস্থ করার ফন্দি আঁটে ফেলে। এদিকে রায়ান ফোন করে তার বাবাকে ডেকে আনিয়েছে। খুব রেগে যান তিনি, প্রতিযোগিতায় মৌসুমীর অংশগ্রহণের কথাটা শুনে। কিন্তু পারুল প্রতিবাদ করে জানায়, স্বামী হিসেবে স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোই তাঁর কর্তব্য। এভাবে দাদুর কথা ভেবে ভয় পেলে চলবে না। মৌসুমী নিজেও রায়ানের বাবাকে সেখানে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।