জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জানতেন বাঁচবেন না! মৃত্যুর দু’দিন আগে সলমনের বাড়িতে গিয়ে কী খেতে চেয়েছিলেন কাজলের বাবা? সমু মুখার্জীর শেষ ইচ্ছের কথা জেনে চোখে জল সবার!

বিনোদনের জনপ্রিয় দুই তারকা কাজল এবং টুইঙ্কল খন্না সম্প্রতি একসঙ্গে একটি টক শো সঞ্চালনা শুরু করেছেন। নতুন এই জুটিকে এমনভাবে আগে কখনও দেখেননি দর্শকরা। তাঁদের প্রথম পর্বেই অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন সলমন খান এবং আমির খান। চার তারকা একসঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে পৌঁছে যান পুরনো দিনের গল্পে। আর সেখানেই উঠে আসে এমন এক আবেগঘন মুহূর্ত, যা শুনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কাজল নিজেও।

কাজল ও সলমনের বন্ধুত্ব বহু পুরনো। তাঁদের বাবারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। সেলিম খান এবং সমু মুখোপাধ্যায়— দুই পরিবারের সেই বন্ধুত্ব আজও সমান উজ্জ্বল। ছোটবেলা থেকেই কাজল এবং সলমন ছিলেন কাছের মানুষ। সেই সূত্রে নায়কের পরিবারের সঙ্গেও সমু মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল গভীর। ঠিক সেই সম্পর্কের কথাই মনে করিয়ে দিলেন সলমন, যা ধীরে ধীরে আবেগের এক অন্য মাত্রা এনে দিল অনুষ্ঠানে।

আড্ডার ফাঁকে সলমন স্মৃতিচারণ করে বললেন, মৃত্যুর মাত্র দু’দিন আগে কাজলের বাবা তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। সেদিন তিনি সলমনকে বলেছিলেন— ‘‘দু’পেগ তৈরি করো’’। অভিনেতা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কারণ, তাঁর শরীর তখন খুব একটা ভাল ছিল না। কিন্তু সমু মুখোপাধ্যায়ের উত্তর আজও সলমনের মনে গেঁথে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘দু’দিন পর আমি থাকব না, তাই আমাকে মানা কোরো না।’’

এই কথাগুলো শোনানোর সময় সলমনের কণ্ঠ ভারী হয়ে উঠেছিল। কাজলও চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি। মুহূর্তের জন্য আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেন। সলমন জানান, সমু মুখোপাধ্যায় শুধু একজন সুপরিচিত পরিচালক বা কাজলের বাবা নন, তিনি তাঁদের পরিবারেরও একজন আপন মানুষ ছিলেন। তাঁর স্মৃতি আজও ঠিক ততটাই টাটকা।

বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ার আড়ালে এমন ব্যক্তিগত গল্প খুব কমই প্রকাশ্যে আসে। সেদিনের শো-তে সলমনের এই স্মৃতিচারণ শুধু কাজলের জন্য নয়, উপস্থিত সকলের মন ছুঁয়ে যায়। মুখোপাধ্যায় পরিবারকে ‘‘সবচেয়ে ভদ্র ও ভালো পরিবার’’ বলেও উল্লেখ করেন সলমন। দর্শকদের কাছে এই পর্ব হয়ে ওঠে শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং বন্ধুত্ব, পরিবার এবং প্রিয়জনকে হারানোর বেদনার এক মর্মস্পর্শী স্মৃতি।

Piya Chanda