জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মৌসুমী রায়ানের বাবাকে দেখে খুব রেগে যান। তিনি মনে করতে থাকেন যে, পারুলই বোধহয় জেতার জন্য রায়ানের বাবাকে ডেকে এনেছে। এরপর অনেক কথা শোনাতে থাকেন তিনি পারুলকে। তারপর নিজে থেকেই রায়ানের বাবা বলে উঠেন যে স্ত্রীর সাফল্যে অংশ হওয়ার জন্যই তিনি এসেছেন। কেউ তাঁকে ডেকে আনেনি।
এত বছর সংসার করলেও কোনদিনও স্বামীর থেকে এমন সমর্থন না পেয়ে, মৌসুমী প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে না। রায়ানের বাবা জানায়, বাড়িতে নিজের বাবার ভয়ে চুপ করে থাকলেও বাইরে এসে স্ত্রীকে সমর্থন করবে ঠিক করেছে। অবশেষে শুরু হয় প্রতিযোগিতার অন্তিম রাউন্ড, এই রাউন্ডে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে খেলতে হবে। রাউন্ডের নাম ‘মন দিয়ে যায় চেনা’। মৌসুমী খুব আনন্দ পেলেও, চিন্তায় পড়ে যায় পারুল।

হঠাৎ সব বন্ধুদের নিয়ে হাজির হয় শিরীন, এই দেখেই রায়ান-পারুল আন্দাজ করে ফেলে যে কিছু একটা সমস্যা এরা পাকাবেই। খেলা শুরু হতেই স্বামীদের ডাকা হয়। রায়ানের বাবা বলতে চায় পারুলের স্বামীর কথা কিন্তু মৌসুমী মাথার দিব্যি দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। পারুলও মাথা নীচু করে মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকে। অনেকক্ষণ স্বামী আসছে না দেখে, সবাই পারুলকে নানা রকম প্রশ্ন করে।
এদিকে রায়ানও দ্বন্দ্বে পড়ে গেছে, সবাইকে কি সম্পর্কের কথা জানাবেন নাকি চুপ করে পারুলকে হেরে যেতে দেবে। পারুলও ঠিক করেছে যতই হেরে যাক, রায়ানকে দেওয়ার কথার কোনদিনও অন্যথা করবে না। শিরীন হঠাৎ বলে ওঠে যে পারুল মিথ্যে কথা বলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে, আসলে বিবাহিতই নয়। এই কথা শুনে বিচার খুব রেগে যায়। পারুল কোনও উত্তর না দিয়ে নিজেই মঞ্চ থেকে নেমে যেতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ জানতেন বাঁচবেন না! মৃত্যুর দু’দিন আগে সলমনের বাড়িতে গিয়ে কী খেতে চেয়েছিলেন কাজলের বাবা? সমু মুখার্জীর শেষ ইচ্ছের কথা জেনে চোখে জল সবার!
এমন সময় রায়ান উঠে দাঁড়িয়ে বলে যে, পারুলের স্বামী সে। মঞ্চে উঠে পারুলের পাশে দাঁড়িয়ে সবাইকে ছবি দেখিয়ে প্রমাণও করে দেয়। এটাও জানিয়ে দেয় যে প্রতিপক্ষ মৌসুমী তার নিজের মা। এবার খেলা জমে উঠেছে! একদিকে এতদিন পর রায়ানের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেল পারুল, অন্যদিকে শিরীন-মৌসুমীর ফন্দি জলে চলে গিয়ে আরও কাছাকাছি এসে গেল পারুল-রায়ান।