পুজোর মরশুমেই টেলিপাড়ায় বাড়তি উত্তেজনা! কথা হচ্ছে, হয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’কে (Chirodini Tumi Je Amar) নিয়ে। চলতি সপ্তাহে প্রথমবার টিয়ারপি তালিকায় সেরা পাঁচের মধ্যে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ধারাবাহিকটি। সেই সঙ্গে দর্শকদের মনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আর্য সিংহ রায়ের সঙ্গে অপর্ণার বিয়ে আসলেই হবে তো? নাকি চিকিৎসক হিন্দোল মিত্রের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধবে নায়িকা? এমন পরিস্থিতিতে সামাজ মাধ্যমে চলেছে তুমুল আলোচনা, কোথাও কোথাও আবার বিতর্কও!
বিশেষত অনুরাগীদের একাংশ কিছুতেই প্রিয় জুটির পরিবর্তে নতুন সমীকরণ মানতে চাইছেন না। এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে পর্দার ওপারেও যেমন, তেমনই বাইরে দর্শক প্রতিক্রিয়াতেও। অনেকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন অপর্ণা চরিত্রের মা-বাবা এবং কিঙ্করের বিরুদ্ধে, যাঁরা গল্পের প্রয়োজনে হিন্দোলের পক্ষ নিচ্ছেন। তবে, গল্পের মোড় ঘুরে যাওয়ায় ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং বেড়েছে। এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থাকে নিয়ে রোজই, এই ধারাবাহিকের ভক্তদের নানান খুব লক্ষ্য করা যায়।
তবুও তাঁরা প্রমাণ করে দিল বিতর্ক যতই থাকুক, দর্শকরা চোখ সরাতে পারবে না। এদিকে গল্পে কোন পথে এগোবে তা নিয়ে নানান জল্পনা চলছেই। কারও মতে, হিন্দোল নাকি আগেও বিয়ে করেছিল, যা গোপন রেখেছে বিশেষ কারণে। আবার কেউ দাবি করছেন, অপর্ণা-আর্যর সন্তানের মা হতে চলেছে— এই খবরে ভেঙে যাবে বিয়ে। যদিও অভিনেত্রী সুচন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি পর্দায় অপর্ণার মায়ের চরিত্রে, স্পষ্ট জানিয়েছেন, “দুটোর কোনওটাই হচ্ছে না! এমন কারণের জন্য বিয়ে ভাঙবে না।”
তাঁর কথায় জল্পনা কিছুটা থামলেও, দর্শকদের কৌতূহল আরও বেড়েছে। হিন্দোলের চরিত্রের অভিনেতা মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য অবশ্য বিষয়টিকে হালকা মেজাজেই নিয়েছেন। হাসতে হাসতে তিনি মন্তব্য করেছেন, “হিন্দোল-অপর্ণার বিয়ে হলে ধারাবাহিক আজকেই শেষ! দর্শকও আমায় আস্ত রাখবেন কি জানি না!” তার মানে কি সত্যিই শেষ পর্যন্ত আর্য-অপর্ণার মিলনই হবে? না কি অন্য কোনও মোড় অপেক্ষা করছে সামনে? উল্লেখ্য, সম্প্রতি ধারাবাহিক ২০০ পর্ব অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুনঃ সিঁদুর দানের আগেই পাল্টে গেল সবকিছু, অনুতপ্ত হয়ে শেষ মুহূর্তে মেয়েকে পালাতে বললেন সুমি! কিঙ্করের সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে বিয়েতে হাজির আর্য, বিয়ের সাজেই অপর্ণা ছুটল তাঁর কাছে! কী হবে এবার?
সেই উপলক্ষে সেটে আয়োজিত হয়েছিল ছোট্ট উদযাপন। সেখানে দেখা যায় সুচন্দ্রা ঢাক বাজাচ্ছেন আর দিতিপ্রিয়া আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না জীতু কমল! পর্দার ‘শাশুড়ি’ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, শুটিং শেষ হতে রাত হয়ে গিয়েছিল, তাই ক্লান্তির কারণে হয়তো আসতে পারেননি অভিনেতা। তবে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে দর্শকদের মনে অভাববোধ থাকলেও, ধারাবাহিকের বাকিরা কথাতেই স্পষ্ট বুঝিয়েছে যে, মান অভিমান নেই। বরং সবাই মিলেই এই গল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত।