জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

তারা সুন্দরী মায়ের আশঙ্কার মাঝেই নতুন পথে অপর্ণা-আর্য! সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, বিয়ের মণ্ডপে অপর্ণার হাত ধরল আর্য! শেষমেশ মেয়ের ভালোবাসার পক্ষেই দাঁড়ালেন সুমি-সতীনাথ!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা ছুটে গিয়ে আর্যকে জড়িয়ে ধরে। দু’জন দু’জনকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। নিজেকে কিছুটা সামলে আর্য জানতে চায়, অপর্ণা কেন নিজের পরিবার এবং তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে চলে এসেছে।

উত্তরে অপর্ণা বলে যে, আর্যই এখন তার পরিবার আর সেই পরিবারের ইচ্ছাকে এবার থেকে প্রাধান্য দেবে সে। সবটা দেখেন তারা সুন্দরী মা। তিনি আবার ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, দু’জনের এই ভালো সময় বেশিদিন থাকবে না। আবার ঝড় আসবে। অনেকদূরে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে অপর্ণা আর্যকে। আর্য বলে যেখানে নিয়ে যাবে, অপর্ণা কি সেখানেই যাবে?

উত্তরে অপর্ণার জানায়, আর্যর উপর তার পুরো আস্থা আছে। আর্য যেখানে নিয়ে যাবে তাঁকে, ঠিক জায়গাই হবে সেটা। গাড়িতে উঠে দু’জনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এদিকে অপর্ণার মা নিজেকে সান্তনা দিতে থাকেন যে অবশেষে অপুর জীবন নষ্ট হওয়ার থেকে আটকাতে পেরেছেন। কিন্তু কিঙ্কর এসে তাঁকে বলে যে এটা তিনি ঠিক করেননি। আর্যর সঙ্গে অপর্ণার সম্পর্ক হতেই পারে না।

সুমি কোনও কথা না শোনায়, আর্য অপর্ণার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও দেখায় কিঙ্কর। কিন্তু সুমি নিজের মেয়ের ভালোবাসা নিয়ে গর্বিত। কিঙ্কর যদিও বলে যে, এই ভিডিও দেখেই সতীনাথ বাবুর শরীর খারাপ হয়েছিল। সুমি কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে, সে নিজের থেকেই কিছু করতে বেরিয়ে পড়ে। অন্যদিকে, হিন্দোল বিয়ে করতে আসার জন্য একদম প্রস্তুত আর অনেকটা তৃপ্ত অজানা কারণেই।

এদিকে যেমন সুমি সতীনাথকে সবটা জানিয়ে দেয় অপুর পালিয়ে হওয়ার বিষয়ে, তেমন অন্যদিকে আর্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অপর্ণাকে তার বিয়ের মণ্ডপেই নিয়ে আসে। অপর্ণা তো এইসবে একদম ভেঙে পড়েছে। হঠাৎ পাত্রীর খোঁজ শুরু হলে, অপর্ণাকে নিয়ে হাজির হয় আর্য। কারোর কথা না শুনে, নিজে দাঁড়িয়েই অপর্ণার বিয়ে দেবে আর্য!

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।