জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণাদের গ্রামের বাড়িতে দেখে খুব খুশি হন রাজলক্ষ্মী আর আর্য। পুজোর চারটে দিন তাদের সেখানেই থাকতে অনুরোধ করেন রাজলক্ষ্মী। অপুর মা জানান, তারা সঙ্গে করে কোনও জামা-কাপড় আনেননি।
রাজলক্ষ্মী বলেন সেই সব নিয়ে কোনও চিন্তা করতে হবে না, তারা অতিথি বরং সিংহ রায় পরিবারের আত্মীয়ও এখন। এদিকে অপর্ণা অনেক অভিমান জমিয়ে রেখেছে আর্যর প্রতি। আর্য এদিকে ভাবছে, কিঙ্কর সব জেনেশুনে অপর্ণার বিয়ে নিয়ে মিথ্যে কথা বলল! কিঙ্কর অন্যদিকে পালানোর চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। আর্য তাকে জানতে চায়, এটা কেন করল সে।

উত্তরে বরাবরের মতো কিঙ্কর বলে, অপর্ণার সঙ্গে আর্যর সম্পর্ক হোক, এটা তার পছন্দ না। আর্য কিঙ্করকে নিজের জায়গা দেখিয়ে দেয়, আর সাবধান করে দেয় যেন তাদের মাঝখানে না ঢোকে সে। অপর্ণা এদিকে গ্রামটা ঘুরে দেখতে বেরোতেই আবার ঝাপসা স্মৃতি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। সে দেখতে পায় একটা বাচ্চা মেয়ে, পায়ে নূপুর পরে হেঁটে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে।
হঠাৎ মাথাটা ঘুরিয়ে যায় তার, আর্য এসে ধরে নেয়। যদিও অপর্ণার রাগ ভাঙাতে পারে না আর্য অনেক চেষ্টা করেও। ষষ্ঠী গড়িয়ে অষ্টমীর অঞ্জলী পর্যন্ত শেষে হয়ে যায়, তবুও দু’জনের মান-অভিমানের পালা চলতে থাকে। রাজলক্ষ্মী সিদ্ধান্ত নেন, এবার তাকেই কিছু একটা করতে হবে দু’জনকে একসাথে আনতে। তিনি ঘোষণা করেন এবারের হোক রান্না করবে আর্য আর অপর্না।
আরও পড়ুনঃ ত্রিশূল হাতে দুর্বার পারুল, সামনে নতজানু টগর! শিরীনকে মহিষাসুর সাজিয়ে স্টেজে টেনে তুলল ত্বরিতা, মহিষাসুরমর্দিনী রুপী পারুলের সামনে ধরাশায়ী সেও! ‘পরিণীতা’র আজকের ফাটাফাটি পর্ব!
সেই মতো রান্না করতে করতে হঠাৎ বুকে হাত দিয়ে শুয়ে পড়ে আর্য! অপর্ণা বুঝতে পারে না কি করবে, মাথায় তার একটা জিনিসই চলছে যে— তারা সুন্দরী মায়ের ভবিষ্যৎবাণী ঠিক হয়ে গেল তাহলে! এবার কি করবে অপর্ণা? কি করে বাঁচাবে এই বিপদ থেকে আর্যকে?