জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুল ত্রিশূল হাতে নিয়ে টগরকে মারতে এগিয়ে যায়। টগর চাবি না দিলে সে খু’ন করেই ছাড়বে এই কথা জানিয়ে দেয় সকলকে, এমনকি রায়ানকে পুলিশও ডাকতে বলে পারুল। টগর ভয়ে পেয়ে চাবিটা দিয়ে দেয় আর বলে যে, নতুন বউ হওয়া সত্ত্বেও কেউ তাকে পাত্তা দিচ্ছে না দেখে এমন করেছে। এই কথা শুনে পারুল একটা চড় বসিয়ে দেয় টগরের গালে।
আর সাবধান করে দেয় টগরকে যে, ফের কোনও সমস্যা সৃষ্টি করতে গেলে খবরে মহিষাসুরমর্দিনী পালার সঙ্গে, জুতো খাওয়াও দেখানো যায় হবে টগরের। রায়ান চাবিটা নিয়ে তাড়াতাড়ি করে তালাটা খুলে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনে। এরপর শুরু হয় বসু বাড়ির সপ্তমীর অনুষ্ঠান। প্রথমেই পিসিমণি নৃত্য পরিবেশন করেন। তাঁর অনবদ্য উপস্থাপনায় সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। তারপর দেবী দুর্গা রূপে পারুল এসে উপস্থিত হয়।

পারুলের সাজসজ্জা থেকে মুখের দীপ্তি সব কিছুই যেন সাক্ষাৎ মা দুর্গার মতো। পারুলের মা বাবা খুব গর্ববোধ করতে থাকেন তাদের মেয়েকে নিয়ে। এটিকে ঠাম্মি বলেই ফেলেন, পারুল দিদি বসু বাড়ির দুর্গা! মহিষাসুরমর্দিনী রুপী পারুলকে একে একে সমস্ত দেবতারা অস্ত্র প্রদান করেন। ব্রহ্মা রূপে আশুতোষ বাবু কমণ্ডলু আর পদ্ম দেন। বিশ্বরূপ মৈনাক দেয় সুদর্শন চক্র। ইন্দ্ররূপে রায়ানের বাবা তুলে দেন আরও অস্ত্র।
শেষে মহাদেব রূপে রায়ান তুলে দেয় ত্রিশূল। এরপর শুরু হয় পারুলের অসুর বধের লড়াই। অসুর সেজেছে মল্লার আর জামাইবাবু। তাদের বধ করে পারুল হুঙ্কার দেয় মহিষাসুরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মহিষাসুর কে হবে সেটাই তো জানা নেই! হঠাৎ ত্বরিতা লক্ষ্য করে শিরীন কালো পোশাকে সেজে আছে। মাথায় মহিষাসুরের মুকুট পরিয়ে, তাকে ধাক্কা মেরে স্টেজে তুলে দেয় সে। এরপর শিরীনকে অস্ত্র দেয় টগর।
আরও পড়ুনঃ অভিনয় জগত থেকে হঠাৎ নিরুদ্দেশ! বুলবুলি চৌবে পাঁজা কি সত্যিই কাজ পাচ্ছেন না, নাকি নিজের ইচ্ছেতেই ঝলমলে পর্দা থেকে সরে গেছেন অভিনেত্রী?
দুর্গা আর মহিষাসুরের লড়াইতে আবার মহিষাসুর পরাস্ত হয়। সবাই পারুলের জয়-জয়কার করতে থাকে। শিরীন অপমানিত হয়ে চলে যায় সেখান থেকে। টগর পারুলকে জানায় সে নিজের ইচ্ছেতে করেনি বাজে কাজটা, বরং শিরীন তাকে করতে বলেছিল। পারুল আবারও একটা চড় মেরে টগরকে বুঝিয়ে দেয়, সে ঠিক কতটা বোকা! শিরীন ফন্দি করেও পার পেয়ে গেল, আর সবার সামনে দোষী প্রমাণিত হলো টগরই।