জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অষ্টমীর শেষ বেলায় গোপাল-রুক্মিণীর গানে মুগ্ধ সবাই! বসু বাড়ির আনন্দের মাঝে নতুন বিপর্যয়, নবমীর ভোগ নষ্ট করে দিল টগর নিজের হাতে! পারুল কি পারবে মায়ের মুখে অন্ন তুলে দিতে?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অষ্টমীর দিন বসু বাড়ির সবাই আনন্দ করছে। শুধু মন খারাপ নিয়ে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে গোপাল। রায়ানের চোখ এড়ায় না সেটা, অনুষ্ঠানের বিশেষ চমক হিসেবে সে আয়োজন করে রুক্মিণী আর গোপালের একটা ডুয়েট।

সবাই অবাক হয়ে যায় শুনে যে, এটা কি করে সম্ভব! রুক্মিণী বিদেশে আর গোপাল এখানে, কেমন করে তাল মেলাতে দু’জনে? দেখা যায়, রায়ান একটা ল্যাপটপের ব্যবস্থা করেছে। সেটার মাধ্যমেই রুক্মিণী আর গোপাল গানের গলা মেলাবে। রায়ান বলে, শারীরিকভাবে না হলেও রুক্মিণীর মন বসু বাড়িতেই আছে।

এরপর দু’জনে গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেয় সকলকে। বড় দাদু তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ রায়ানের। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায় পারুল-রায়ান অনুরোধ করে, দাদু আর বড় দাদুকে এক সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য। বড় দাদু রেগে গিয়ে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন বাড়ি থেকে, কিন্তু দাদু হঠাৎ গান ধরাতে থমকে যায় তার পা। তারপর দুই ভাই মিলে গান গাইতে শুরু করে।

অনুষ্ঠান শেষ হতেই সবাই রায়ানকে অনেক সাধুবাদ দেয়, ভাঙা বসু বাড়িকে আবার জোড়া লাগানোর তাঁর উদ্যোগের জন্য। কিন্তু রায়ান এই কৃতিত্ব পারুলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে বলে, বড় দাদুকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিল পারুল। সবাই পারুলের নাম করছে দেখে টগর আবার হিংসায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, চেয়েও পারুলের কোনও ক্ষতি সে করতে পারছে না।

পরদিন নবমীতে বসু বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী একান্ন ভোগ দেওয়া হবে মা দুর্গাকে। অন্নভোগ পারুল রান্না করছে, ঠাম্মীর বলে দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী। নিয়মে বলা হয়েছে যে, অন্ন যতক্ষণ না রান্না হবে যেন ততক্ষণ না আগুন নেভে। যজ্ঞের ফোঁটা নিতে পারুল ভোগ ছেড়ে চলে যেতেই, টগর এসে জল ঢেলে দেয় রান্নার আগুনে।

ভোগের সময় হয়ে এল পারুলের বাবা ভোগ চেয়ে পাঠান। বাকি সব ভোগ তৈরী হলেও, অন্নভোগ তখনও রান্না হয়নি। পারুল চিন্তায় পড়ে যায়, কি করে দশ মিনিটের মধ্যে সে রান্না করবে। সবাই এই কাজের জন্য শিরীনকেই সন্দেহ করতে থাকে, কিন্তু টগর নিজের মুখেই সত্যিটা স্বীকার করে। রেগে গিয়ে শ্বাশুড়ি মা টগরকে একটা চড় মেরে উচিত শিক্ষা দেন।

Piya Chanda