জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মেঘরাজের সঙ্গে অপর্ণা গাড়িতে উঠে কোথাও একটা চলে যায়, আর্য কিছুতেই তাদের আটকাতে পারে না। এদিকে মেঘরাজ অনেক কথা বলার চেষ্টা করলেও, সে যেন এখনও একটা ঘোরের মধ্যে আছে।
গাড়ি থেকে নেমে সে মেঘরাজের কথা মতো জায়গায় স্বইচ্ছায় চলে যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই জ্ঞান হারিয়ে পরে যায় সে। নিজের লোকেদের ডেকে মেঘরাজ খেয়াল রাখতে বলে অপর্ণার। যাতে আর্য আসলে সমস্ত সত্যিটা অপর্ণা নিজের কানে শুনতে পারে। এরপর অপর্ণার জ্ঞান ফিরে আসতেই, আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় সে।
তখন অপর্ণা পরিস্থিতি বুঝে পালাতে চাইলেও পরে না, উল্টে তাকে মেঘরাজের লোকেরা আটক করে রাখে আর বলে আর্যকে তার সামনেই শেষ করা হবে আজকে। এদিকে আর্য দিশেহারা হয়ে পড়েছে, কি করে অপর্ণাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে সে! এমন সময় গ্রামের এক ব্যক্তিকে সাইকেল নিয়ে যেতে দেখে, আর্য সাইকেলটা দিতে অনুরোধ করে।
আর্য বলে যেন সিংহ রায়দের পুজোতে গিয়ে রাজলক্ষ্মী সহ বাকিদের কলকাতায় ফিরে যেতে বলে সে, আর্য তার কাছের মানুষকে নিয়ে পরে ফিরবে। ব্যক্তিটি বলেন, কেউ যদি তাকে বিশ্বাস না করেন কী হবে তখন? আর্য নিজের হাতের ঘড়িটা খুলে দিয়ে বলে, এটা যেন সে দেখায় সবাইকে। এটা দেখলেই আর কেউ অবিশ্বাস করবে না। সেই মতো ওই ব্যক্তি সবটা জানায় সন্ধি পুজোর সময় গিয়ে।
আরও পড়ুনঃ অষ্টমীর শেষ বেলায় গোপাল-রুক্মিণীর গানে মুগ্ধ সবাই! বসু বাড়ির আনন্দের মাঝে নতুন বিপর্যয়, নবমীর ভোগ নষ্ট করে দিল টগর নিজের হাতে! পারুল কি পারবে মায়ের মুখে অন্ন তুলে দিতে?
অপর্ণার মা কিছুতেই যেতে রাজি হন না। রাজলক্ষ্মী জানান, আর্য এই কথা বলেছে মানে নিশ্চই কোনও কারণ আছে। ওইদিকে আর্য গাড়ির চাকার দাগ অনুসরণ করে মেঘরাজের ঠিকানায় পৌঁছায়। সেখানে মেঘরাজ তাঁকে হু’মকি দেয়, অপর্ণাকে পেতে হলে নিজের আসল পরিচয় জানিয়ে ক্যামেরার সামনে স্বীকারোক্তি দিতে হবে। সেই মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে আর্য বলে, সে আর্য সিংহ ভাইয়ের মুখোশ পড়ে থাকা এক অপরাধী!