জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য রাতে বাড়ি ফিরতেই মানসী তড়িঘড়ি করে নিচে নেমে এসে কি হয়েছে জানতে চায়। আর্য ছোট্ট একটা ঘটনা বলে এড়িয়ে যেতে চাইলেও, মানসী নাছোড়বান্দা। শেষে রাজলক্ষ্মী এসে মানসীকে সংযত থাকার পরামর্শ দেন, আর বলেন উচিত সময় আসলে তাকে সব জানানো হবে। মানসীকে ঘরে যাবার পরামর্শ দেয় রাজলক্ষ্মী।
ঘরে গেলেও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে মানসী যে সব সত্যিটা একদিন জেনেই ছাড়বে। এদিকে অপর্ণারা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসে। অপর্ণার মা-বাবা আগের মতোই মেয়ের খুশির কথা মাথায় রেখে চলছেন, কিন্তু অপর্ণা মনমরা হয়ে বসে আছে। তার মনের মধ্যে একটা কথাই চলছে, বারবার কেন সবাই আর্যকে শঙ্কর বলে! উত্তর না পাওয়া উদ্দেশ্যে কিছুতেই নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। এদিকে রাজলক্ষ্মী আর্যকে বলেন অপর্ণা তার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে, ফলে সমস্ত সত্যিটা বলে দেওয়া উচিত।
আর্য কিছুতেই বলতে চায় না, সত্যিটা জানলে অর্কর সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগবে। রাজলক্ষ্মী বলেন এক ছেলের ভালো করতে গিয়ে, আরেক ছেলের ক্ষতি করতে পারবে না। পরদিন সকালে আর্য অপর্ণার বাড়ি যাওয়ার আগে রাজলক্ষ্মীর সঙ্গে বাগানে দেখা করতে যায়। যেখানে গিয়ে মরা গাছটায় নতুন পাতা দেখতে পেয়ে অনেক খুশি হয় আর্য। রাজলক্ষ্মী বলেন এই গাছটা অপর্ণা-আর্যর সম্পর্কের ভিত্তিতে বেড়ে উঠছে।
ফলে অপর্ণার মন যদি খারাপ থাকে, তাহলে এই গাছটাতেও তার প্রভাব পড়বে। এরপর অপর্ণার বাড়িতে গিয়ে আর্য আলাদা করে কিছু কথা বলতে চায়। এই দেখে অপর্ণার মা-বাবা বিভিন্ন কাজের অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এমনকি পাড়ার লোকেরা অপুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাদের তাড়িয়ে দেন অপর্ণার মা। যতবার আর্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে শুরু করে, কেউ না কেউ এসে তাতে বাধা দেয়। শেষমেষ সেখানে কিঙ্কর এসে উপস্থিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘কুৎসাও আমাকে ভাঙতে পারেনি!’ ‘সবই আমার সততা, পরিশ্রম আর দর্শকদের আশীর্বাদ।’ — টিআরপি তালিকার শীর্ষে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, প্রথম হতেই গর্জে উঠলেন জীতু কমল!
আর্যকে সে আলাদা করে ডেকে নিয়ে গিয়ে আবারও সাবধান করে, অতীত সম্বন্ধে কিছু না বলতে। আর্য কথা না শোনায় সে একটা ব’ন্দুক বের করে ভয় দেখায়, এবং বলে যে আর্যকে না মারতে পারলেও সে নিজেকে শেষ করে দেবে! অন্যদিকে, অপর্ণার বাড়িতে পুজো চলছে আর আর্য চোখেই ফেরাতে পারছে না অপর্ণার দিক থেকে। পাড়ার লোকেরা ফিসফিস করে বলতে থাকে, হবু জামাই তার বাচ্চা বউকে চোখে হারাচ্ছে।