জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণার বাড়িতে আর্য নিজের অতীত নিয়ে কথা বলতে শুরু করবে, এমন সময় কিঙ্কর এসে উপস্থিত হয়। অর্যকে সে জানায়, একজন গুরুত্বপর্ণ ক্লায়েন্ট এসেছেন বিজনেস ডিলের জন্য। তাই আর্যকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেতে হবে।
সেই মতো আর্য চলে যায় কিঙ্করের সঙ্গে। কিছুটা দূর গিয়েই আর্য গাড়ির থামাতে বলে। তারপর সে কিঙ্করকে মিথ্যে কথা বলার কারণ জানতে চায়। কিঙ্কর সেই একই কথা বলে, অপর্ণা অতীত জানলে সব ভেস্তে যাবে। কিন্তু আর্য নিজেই চায় যে অপর্ণা জানুক। এই শুনে কিঙ্কর একটা বন্দুক দিয়ে আর্যকে ভয় দেখায়। আর্য ভয় না পেয়ে, উল্টে গু’লি চালাতে বলে।

কিঙ্কর বলে সে আর্যকে না মারতে পারলেও নিজে মরবে। এরপর আর্য আর কিঙ্করের হাতাহাতি হয় বন্দু’কটা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কারোর কোনও ক্ষতি হয় না। এদিকে লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে অপর্ণার মা-বাবা আর্যদের বাড়ি গিয়ে সকলকে নেমন্তন্ন করে আসেন। পরদিন পুজো শুরু হতেই আর্যরা এসে হাজির। রাজলক্ষ্মীর সঙ্গে রাস্তায় হঠাৎ তারা সুন্দরী মায়ের দেখা।
আপ্লুত হয়ে রাজলক্ষ্মী তাঁকে জানান, মায়ের কথা মতো মরা গাছটায় নতুন পাতা গজিয়েছে। এভাবেই যেন আর্য-অপর্ণা একসঙ্গে থাকে, এই আশীর্বাদ চান রাজলক্ষ্মী। কিন্তু তারা সুন্দরী মা বলেন, সেই দিন আসতে এখনও অনেক দেরি। অতীত ফিরে এসে বর্তমান-ভবিষ্যৎ কে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে। তাই এখনও অনেক কাঁটা, সেগুলো পেরোলেই তবে একসঙ্গে হতে পারবে তারা।
আরও পড়ুনঃ বাবার পথেই ছেলে! “মহাভারতের মহাযুদ্ধ নয়, এ এক নতুন দর্শন!”— নেটফ্লিক্সে উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালিত ‘কুরুক্ষেত্র’ মুক্তি পেল অবশেষে! বিশ্বজোড়া প্রশংসা কুড়োচ্ছে তাঁর প্রচেষ্টা, গর্বিত টলিপাড়া!
রাজলক্ষ্মী আবার চিন্তায় পড়ে যান। অন্যদিকে আর্য-অপর্ণাকে নিয়ে পাড়ার লোকেরা মজা করতে থাকেন। কেউ বলেন আমাদের জামাই বাচ্চা বউকে চোখে হারাচ্ছে, তো কেউ আবার বিয়ে নিয়ে তাড়া দেন। এসব দেখে রাজলক্ষীও বলেন, তিনি পারলে আজকেই অপর্ণাকে সিংহ রায় বাড়ি নিয়ে চলে যেতেন।