আজকাল সমাজ মাধ্যম (Social Media) শুধু বিনোদনের মঞ্চ নয়, অনেকের কাছে তা হয়ে উঠেছে নাগরিক সচেতনতার হাতিয়ার। মানুষ এখন নিজের আশপাশের সমস্যা, অনিয়ম বা অবহেলার ছবি তুলে ধরছেন প্রশাসনের নজরে আনার জন্য। কেউ নোংরা রাস্তা, কেউ জল জমা রাস্তার বেহাল দশা— এমন নানান বিষয় তুলে ধরে চাইছেন পরিবর্তন, চাইছেন উন্নতি। আর সমাজ মাধ্যমের শক্তি যে কতটা কার্যকর হতে পারে, তা ফের একবার প্রমাণ করলেন ছোটপর্দার অভিনেতা ‘সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Surajith Baanerjee)।
সম্প্রতি উত্তর কলকাতার এক সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর মতে, নিজের এলাকার অস্বস্তিকর ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি আর সহ্য হচ্ছিল না। শ্যামপুকুর থানার অন্তর্গত ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বহুদিন ধরে রাস্তার বাতিস্তম্ভগুলি নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। দুর্গাপুজোর দ্বিতীয়ার পর থেকেই গোটা রাস্তা অন্ধকারে ডুবে আছে। ফলে রাতে চলাফেরা করাই মুশকিল হয়ে উঠেছে। অভিনেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি শ্যামবাজার বালিকা বিদ্যামন্দির স্কুলের পাশেই।
কিন্তু এলাকাটি নাকি প্রশাসনের দিক থেকে একেবারেই অবহেলিত। বিশেষ করে সম্প্রতি সি.ই.এস.সি কর্তৃপক্ষ সার্ভিসের কাজ করতে এসে রাস্তাটিকে আরও বেশি খারাপ করে ফেলেছে বলে দাবি সুরজিতের। কোথাও কোথাও রাস্তা নিচু হয়ে গিয়েছে, কোথাও আবার এবড়োখেবড়ো গর্ত। এ অবস্থায় বর্ষার জল জমলে বা অন্ধকার নেমে এলে বিপদ আরও বাড়ে। তবে এখানেই শেষ নয়, সুরজিতের বক্তব্যে উঠে এসেছে আরও এক উদ্বেগজনক বিষয়।
তাঁর অভিযোগ, প্রতিদিন রাতেই কিছু অচেনা লোকজন গলিতে দাঁড়িয়ে মদ্যপান করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নাকি স্কুলের সামনে বা অভিনেতার বাড়ির কাছেই বোতল ফেলে রেখে যান, ময়লা ফেলে রাস্তাকে নোংরা করে দেন। তিনি এই মানুষদের ‘বিকৃত বোধ সম্পন্ন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, এমন আচরণে শুধু এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয় না, বাসিন্দাদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়ে। অভিনেতা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর তৃতীয়াতেই তিনি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ গোপন অতীত চাপা রাখতে গিয়ে বিপদে আর্য, তারা সুন্দরী মায়ের ভবিষ্যদ্বাণীতে অশনি সংকেত! আর্য-অপর্ণার সুখে ছায়া ফেলছে কিঙ্করের চক্রান্তের জাল!
কিন্তু এতদিনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এবার বাধ্য হয়েই সমাজ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি। সুরজিতের ধারণা, একজন পরিচিত মুখ হিসেবে তাঁর পোস্ট হয়তো বৃহত্তর প্রশাসনের নজরে আসবে, আর তাতে সমস্যার কোনও সমাধান ঘটবে। তাঁর পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। অনেকেই লিখেছেন, “এমন সমস্যা শুধু সুরজিতের এলাকার নয়, শহরের বহু জায়গাতেই একই অবস্থা।” অভিনেতার এই সাহসী উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেকে।