জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অপরাধী সন্দেহে আটক! বিদেশের নিজের পরিচয় বাঁচাতে পারুলের তীব্র সংগ্রাম! লন্ডনের মাটিতে রুক্মিণীর সামনে হঠাৎ হাজির গোপাল, রুক্মিণীর জীবনে দ্বন্দ্ব চরমে!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, লন্ডন বিমান বন্দরে বিদেশ নিরাপত্তা রক্ষীরা পারুলকে আটক করে রেখেছে অপরাধী সন্দেহে। পারুলের সমস্ত জিনিসপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। পারুলকে তারা বলে হাতের নোয়াটা খুলে দিতে।পারুল কিছুতেই রাজি হয় না, সধবার চিহ্ন খুলে ফেলতে।

উল্টে পারুল তাদের বোঝাতে থাকে যে, একজনকে নিয়ে যেতে এসেছে। খুব দরকার তার এক্ষুনি তাঁর কাছে পৌঁছানো। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়ে দেয় যে, শরীর থেকে সমস্ত ধাতব জিনিস না খুললে কিছুতেই যেতে দেওয়া হবে না। পারুলকে তারা উদ্বাস্তু ভেবে গুলিতে ফেলেন। পারুল বোঝানোর চেষ্টা করে সে থাকতে আসেনি, কাজটা করেই চলে যাবে।

এমন সময় একজন ভারতীয় কর্মী নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রধানকে নিয়ে হাজির হয়, এবং জানায় যে পারুলের সমস্ত তথ্য ঠিক থাকা সত্ত্বেও তাকে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। অবশেষে পারুল মুক্তি পায়। এদিকে রুক্মিণী ঘুমাচ্ছে, হঠাৎ দরজায় কেউ আসলে সে গিয়ে দরজা খুলতেই অবাক হয়ে যায় গোপালকে দেখে।

আনন্দে দিশা হারিয়ে রুক্মিণী কি করবে বুঝতে পারে না। গোপালকে সে জানতে চায়, কি করে সে রুক্মিণীর বাড়ির ঠিকানা পেল। গোপাল বলে, ভালোবাসার মানুষের কাছে পৌঁছাতে ঠিকানা লাগে না। গোপাল রুক্মিণীকে জিজ্ঞেস করে, বিদেশে এসে তার কি একবারও গোপালের কথা মনে পড়ে না! রুক্মিণী গোপালকে জড়িয়ে ধরে জানায়, খুব মনে পড়ে।

কিছুক্ষণ পর আবার দরজার শব্দে ঘুম থেকে উঠে রুক্মিণী অনুভব করে সেটা স্বপ্নও ছিল। এবার দরজা খুলতেই পারুলকে দেখে আরও অবাক হয়ে সে। পারুল তার লন্ডনে আসার কারণ খুলে বললে, রুক্মিণী ভেঙে পড়ে। পারুল জানতে চায়, রুক্মিণী কি নেড়া গোয়াল ফিরে যেতে চাও! অন্যদিকে, রায়ানের মা চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছে।

তিনি ভাবতে থাকেন, পারুল যা মেয়ে ঠিক রুক্মিণীকে বুঝিয়ে আবার ফিরিয়ে আনবে আর গোপালের বিয়েটা ভেঙে দেবে। গোপালের মাকে ফোন করে তিনি সাবধান করে দেন, বিয়ের আগে পর্যন্ত যেন গোপালের কাছে ফোন না থাকে। সেই মতো বিয়ের দিন দিব্যি দিয়ে গোপালের মা ফোনটা নিয়ে নেয়, ওদিকে পারুলও সঙ্গে করে রুক্মিণীকে নিয়ে নেড়া গোয়ালের উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়েছে।

Piya Chanda