জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা ওই পাগলের পেছনে ছুটতে ছুটতে আর্যদের পুরোনো বাগানবাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। সেখানে কেন নিয়ে এলো ওই ব্যক্তি, অপর্ণা কিছুই বুঝতে পারে না। তবে, মনে মনে অপর্ণা নিশ্চিত যে এখানেই তার প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে।
অন্যদিকে কিঙ্করকে কেউ একজন ফোন করে প্রতি মুহূর্তের খবর দিতে থাকে অপর্ণার। কিঙ্কর তাঁকে বলে নজর রাখতে, সে আসছে। কিঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যে অপর্ণাকে কিছুতেই জানতে দেওয়া যাবে না আর্যর অতীত, কারণ এর সঙ্গে তারও অতীত জড়িয়ে আছে আর তার জন্য যদি অপর্ণাকে মরতে হয় তো হবে।

ওদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হলে অপর্ণা একটা গাছের তলায় আশ্রয় নেয়। সেই গাছের গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ‘এস প্লাস আর’। অপর্ণা অনুমান করে যে আরটা রাজনন্দিনী, আর এসটা শঙ্কর। কিন্তু এই ধারণাকে সে সত্যি বা মিথ্যে কি করে প্রমাণ করবে বুঝতে পারে না। ওই পাগল ব্যক্তিকে ডাকতে থাকে সে।
অন্ধকারের মধ্যে থেকে ওই পাগল তাকে চলে যেতে বলে। সে জানায়, সব উত্তর তার কাছেও নেই। উত্তর পেয়ে হলে, কেউ জানার আগেই তাঁকে মাধবপুর যেতে হবে। ওখানে শিব মন্দিরের পাশের বাড়িতেই উত্তর লুকিয়ে আছে। এরপর পাগল পালাতে গিয়ে কিঙ্করের হাতে পড়ে। কিঙ্কর তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সত্যিটা বলিয়ে নেয়, কি বলেছে সে অপর্ণাকে।
আরও পড়ুনঃ “ভিলেনদেরও বেশি ভালো লাগে এই কুসুমের সামনে!” “ওদের কাজে যুক্তি আছে, এই চরিত্রটাতে সেটাও নেই, পুরো বেখাপ্পা!”— লক্ষ্মীপুজোতে অবিবাহিত হয়েও আয়ুষ্মানের জন্য সধবাদের ব্রত পালনে, ফের সমাজ মাধ্যমের রোষের মুখে কুসুম!
এদিকে পুজো শেষে সবাই বাড়ি ফিরে গেলেও অপর্ণার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। রুম্পা, শন্তু, শেফালী মাসী সবাই তন্ন তন্ন করে খুঁজেও অপর্ণাকে না পেয়ে তাঁর মা-বাবাকে জানায়। উদ্বিগ্ন হয়ে তারা আবার আর্যর সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর্য চিন্তায় পড়ে যায়, ঠিক তখনই কিঙ্করের ফোন আসে এবং সে বলে অপর্ণা বাগানবাড়িতে এসেছে। আর্য নির্দেশ দেয়, সে যাওয়া পর্যন্ত কিঙ্কর যেন কিচ্ছু না করে।