জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“পায়ের ক্ষ’ত, ভয় দেখানো হল হার্ট-ফেল আর মৃ’ত্যু!” “র’ক্তে ভেসে যাচ্ছে জামা, বিল বেড়ে দেড় লাখ-দুই লাখ আশি হাজার!”— রুবি হাসপাতালে চিকিৎসার নামে দুর্নীতির অভিযোগে অলকানন্দা! ভাইরাল ভিডিওতে শ্বাশুড়ির ভয়ঙ্কর অবস্থার চিত্র! ফাঁস করলেন চিকিৎসকের নামও!

বাংলা টেলিভিশনে একের পর এক জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জিতেছেন অভিনেত্রী ‘অলকানন্দা গুহ’ (Alokananda Guha)। ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ থেকে ‘জয়ী’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে বারবার। ইতিমধ্যেই তিনি বড়পর্দায় প্রথম কাজও শুরু করে দিয়েছেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে। বর্তমানে ছোটপর্দায় নিয়মিত মুখ না হলেও, সমাজ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সর তিনি। নিত্যদিনের জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত, ভ্লগের মাধ্যমে ভাগ করে নেয় সকলের সঙ্গে।

এদিন তিনি বাংলার চিকিৎসা ব্যাবস্থা এবং এক নামী হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেছেন। অলকানন্দা এদিন একটি ভিডিও করে সেখানে তিনি বলেন, “হাসপাতালে এমন কিছু চিকিৎসক থাকেন, যারা নিজেদের লাভটা গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সমস্ত কিছু করতে পারে।” তিনি জানান, কিছুদিন আগেই তার শ্বাশুড়ি মা কলকাতার বিখ্যাত হাসপাতাল ‘রুবি’তে ভর্তি ছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন তেমন কোনও গুরুতর সমস্যা নিয়ে নয়।

পায়ের তলায় সামান্য একটু কেটে গিয়ে সময়ের সঙ্গে সেই অংশটা ফুলতে শুরু করে এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হতে থাকে। যেহেতু রুবি হাসপাতাল বাড়ির কাছে এবং পরিবারের সবাই অনেক ভরসা করতেন বলে প্রথমে তাঁকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান ওনার রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকায় আইসিইউতে রাখতে হবে। পরেরদিন শর্করা নিয়ন্ত্রণে এসে গেলে, অলকানন্দা চিকিৎসককে বিষয়টা জানান। চিকিৎসক উল্টে জানান, শ্বাশুড়ির হৃদযন্ত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

যেকোনও মুহূর্তে পেসমেকার বা স্টেইন বসতে পারে আবার পরে জানানো হয় যে ফুসফুসে জল জমেছে, কিছুদিনের মধ্যেই মৃ’ত্যু পর্যন্ত হতে পারে! প্রতিদিন ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে নানান রকম ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনও পরীক্ষার রিপোর্টেই নাকি তেমন অসঙ্গতি মেলেনি। প্রথম দিনেই হাসপাতালের বিল গিয়ে দাঁড়ায় দেড় লাখ টাকার কাছাকাছি, যেটা পরদিন এক লাখ নব্বই এবং শেষে আর না রাখতে চেয়ে চারদিন পর যখন ছড়িয়ে আনা হয়, তারা দাবি করেন দুই লাখ ষাট হাজার টাকা দিতে হবে।

তবে, আশ্চর্যের বিষয় উনি যেই সমস্যাটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, সেটারই কোনও সমাধান হয়নি। চিকিৎসক সেটা ছাড়া বাকি সমস্ত রকম চিকিৎসায় দিয়েছে তাকে, যার কোনও প্রয়োজন ছিল না। পায়ের সেই ক্ষত জায়গায় কোনও ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন অলকানন্দা। যখনই তারা রোগীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, চিকিৎসক জানাতেন ওনার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশ্বাস করতে না পারায়, তারা অন্য একজন চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষার রিপোর্ট দেখালে, তিনি জানান সবই ঠিক আছে।

হাসপাতালের চিকিৎসককে সেই কথা জানালে, তিনি হাসতেন আর বলতেন পরেরদিন আরও একটা পরীক্ষা করতে হবে। অবশেষে শ্বাশুড়ি মায়ের একটি ভিডিও দেখান তিনি, যেখানে তাঁর বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে শিউরে উঠেছেন সবাই! হাতের চ্যানেল ঠিক করে খোলা হয়নি বলে, র’ক্তে জমা ভিজে গেছে তাঁর! অবশেষে অলকানন্দা এবং তার স্বামী প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, চিকিৎসক ‘সমীক বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর নামে এবং প্রশ্ন তোলেন যে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যদি এমন করা হয় তাঁরা কোথা থেকে এতো টাকা দেবে? অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামের মানুষেরা কলকাতা আসেন চিকিৎসার জন্য, তাঁদেরও কি এমন করেই বিভ্রান্ত হতে হচ্ছে রোজ?

Piya Chanda