জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলের বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় চুরির অপরাধে। এই খবর পেতেই পারুল রায়ানকে সঙ্গে নিয়ে ন্যাড়া গোয়ালে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে গোপালের মুখে সে জানতে পারে, বাবার ব্যাগ থেকে নতুন বউয়ের সোনার দুল পাওয়া গেছে। বাড়ির সবাই সাক্ষী আছে সেই ঘটনার তাই উকিল ডেকে আনলেও সে কিচ্ছু করতে পারবে না।
পারুল ঠিক করে সে এমন কিছু করবে যাতে দোষী নিজের মুখে সবটা স্বীকার করে। পারুলের বাবাকে যে ফাঁসানো হয়েছে এটা সবাই জানে, কিন্তু কেন সেটাই বুঝতে পারছে না কেউ। ওদিকে শিরীনের মা এমন একজন উকিল ঠিক করেছে, যিনি কিছুতেই পারুলের বাবাকে জামিন পেতে দেবে না। এই কথা শুনে শিরীনও হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। পারুল যদি বাবাকে নিয়ে দক্ষিণ ভারতে যেতেই না পারে তাহলে মাকেও খুঁজে পাবে না।

সেটা না হলে আর শিরীনের বাবাই যে ওর আসল বাবা, এটাও জানতে পারবে না। এদিকে সিংহ রায়দের বাড়ির সবাই খুব চিন্তায়, লক্ষ্মী-নারায়ন পুজোয় এমন ভাবে বাধা পরল যে পুজোটাই আর হলো না। হঠাৎ সেখানে একজন যোগিনী এসে উপস্থিত। তিনি প্রথমে ভিক্ষা চান তারপর ঠাকুরের দিকে চোখ করতেই তিনি চিৎকার করে ওঠেন আর বলেন ঠাকুর এই বাড়ি ত্যাগ করেছে। কারণ ঠাকুরের সামনেই এক ব্রাহ্মণকে অপমান করা হয়েছে তাতে ব্রহ্ম-শাপ লেগেছে।
আসলে এই ছদ্মবেশী হচ্ছে পারুল। চারিদিক সবকিছু দেখে নেয় সে। শেষে বলে ঠাকুর যা দিয়েছে সব ফিরিয়ে নেবে সোনা রুপো হয়ে যাবে, এই বলে চলে যায় সে। রাতে রায়ানকে অনেক থার্মোমিটার জোগাড় করতে বলে সে। তারপর লুকিয়ে সিংহ রায় বাড়ি গিয়ে ঠাকুরের সব গয়নায় পারদের প্রলেপ লাগিয়ে আসে। সকালে যখন বাড়ির বড় বউ ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করেন, তিনি দেখেন সত্যিই যোগিনী মায়ের কথা মত সোনা রুপা হয়ে গেছে।
এবার বাড়ির মালিক বুঝতে পারে সত্যিই মিথ্যে অপবাদে পুরোহিতকে জেলে পাঠানো হয়েছে, এর একটা বিহিত করতে হবে। এদিকে পারুলের বাবাকে কোর্টে তোলা হবে, পুলিশ তারা দিচ্ছে কিন্তু পারুল আর একটু অপেক্ষা করতে বলছে। অবশেষে সিংহ রায় বাড়ির ছোট ছেলেকে নিয়ে তার বাবা থানায় এসে নিজেদের দোষ স্বীকার করে। সসম্মানে ছাড়া পায় পারুলের বাবা।
আরও পড়ুনঃ মাত্র তিন সপ্তাহেই টিআরপি শীর্ষে ‘জোয়ার ভাঁটা’! একদিকে শ্রুতি, অন্যদিকে আরাত্রিকা— দু’জনেই চরিত্রে ঢেলে দিচ্ছেন প্রাণ! নিশা না উজি– কার জন্য আপনি ‘জোয়ার ভাঁটা’ দেখেন? অভিনয়ের টক্করে কে এগিয়ে?
তবুও সিংহ রায় বাড়ির লোক সবাই চিন্তায়, সোনা আবার সোনা হবে কি করে! পারুল আবার যোগিনী সেজে গিয়ে উপদেশ দেয়, ঘি মাখিয়ে আগুনের উপর গয়নাগুলো বসালে আবার সোনা ফিরে আসবে। ঠিকমতো করতেই গয়নাগুলো আগের মতো হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে পারুলের বাবা ঘটনাটা জানতে চাইলে, পারুল বলে সামান্য তাপে পারদ উবে যায় কিন্তু সোনা গলে না, এটাই বিজ্ঞান!