জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর (Chirodini Tumi Je Amar) দর্শকদের যেমন দিন দিন আরও উৎসাহী করে তুলছে, আনন্দ দিচ্ছে। পাশাপাশি কিছুটা চিন্তার ছায়াও ফেলেছে! প্রিয় চরিত্র ‘অপু’র অভিনয়ে যেন কোথাও একটু শারীরিক দুর্বলতা চোখে পড়ছে— এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। আসলে ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা ‘দিতিপ্রিয়া রায়’ (Ditipriya Roy) সম্প্রতি একটি অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। এই খবর নিজেই নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী, যাতে অনুরাগীরা অহেতুক আতঙ্কিত না হন।
দিতিপ্রিয়া জানিয়েছিলেন, তাঁর নাকের ভিতরে এখনও চিকিৎসাগত কিছু যন্ত্রাংশ (সিলাস্টিক শিটস) রাখা রয়েছে, ফলে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেও সমস্যা হচ্ছে। এমনকি হাসাও এখন তাঁর পক্ষে কষ্টকর। তবু দর্শকের ভালবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি শ্যুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। সত্যি কথা বলতে, এই সময়ে একজন অভিনেত্রীর মানসিক জোর কতটা দৃঢ় হলে এমন পরিস্থিতিতেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো সম্ভব, তা ভাবলে শ্রদ্ধা জন্মায়। পোস্টে তিনি আরও বলেন, এই কঠিন সময়ে দর্শকদের পাশে থাকাটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
দর্শকদের কাছে সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয় হলো, তাঁর এই শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও সহকর্মী জিতু কমলের থেকে যে আন্তরিকতা ও সহানুভূতি তিনি পাচ্ছেন, তা চোখে পড়ার মতো! এদিন জিতু কমল নিজে দিতিপ্রিয়ার পোস্ট শেয়ার করে জানান, খুব শিগগিরই আগের মতো শক্তি নিয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তাঁদের পরস্পরের প্রতি এই সমর্থন দেখে দর্শকরাও আশ্বস্ত হচ্ছেন, কারণ কিছুদিন আগেই তাঁদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঝামেলা চরমে উঠেছিল। শোনা গিয়েছিল, দিতিপ্রিয়া ধারাবাহিক ছেড়ে দেবেন জিতুর সঙ্গে অভিনয় করবেন না বলে।
সেই সব ভুল ভেঙে এখন তাঁরা আবার বন্ধু হয়ে উঠেছেন, এটা যে সত্যিই ভালো খবর। এদিন আবার দিতিপ্রিয়া নিজে জিতুর পোস্টে মন্তব্য করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, এই কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য। তাঁর লেখায় ছিল একরাশ আন্তরিকতা, যা থেকে স্পষ্ট, সম্পর্ক শেষ হয়নি বরং আরও দৃঢ় হচ্ছে। জিতুর পোস্টে লেখা ছিল, “দু-একদিনের মধ্যেই আমার সহযোদ্ধা ফ্লোরে ফিরে আসবে, তার সেই শক্তি নিয়ে যা দিয়ে এতদিন আপনাদের মনোরঞ্জিত করেছে।” উত্তরে দিতিপ্রিয়া বলেছেন, “অনেক ধন্যবাদ সহযোদ্ধা, এইভাবে পাশে থাকার জন্য এই সময়ে।
আরও পড়ুনঃ “নাকের ভেতরে সেলাই আর সিলাস্টিক শিট নিয়ে শুটিং করছি”, “কথা তো দূর, হাসিও যেন একটা যুদ্ধ এখন!”— শারীরিক কষ্ট সত্ত্বেও ক্যামেরার সামনে দিতিপ্রিয়া! অসুস্থতার মাঝেও কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, এখন কেমন আছেন তিনি?
আমরা আবার আগুন লাগিয়ে দেব পর্দায় খুব তাড়াতাড়ি!” উল্লেখ্য, দিতিপ্রিয়া আর জিতুর ভক্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে বাংলা যে কোনও ধারাবাহিকের দর্শক সংখ্যার থেকেও বেশি। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, দর্শকদের ভালোবাসা কোনও ছোট বিষয় নয়। সেটাই একজন শিল্পীর জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি। পারস্পরিক তিক্ততা ভুলিয়ে দর্শকদের স্বার্থেই তারা আবার আগের সম্পর্কে ফিরে এসেছে আর তাতেই আশা করা যায় ভবিষ্যতে হয়তো ধারাবাহিকের আরও ভালো ফলাফল হবে টিআরপি তালিকায়। আমরা আপাতত দিতিপ্রিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি!