বিনোদন জগৎ মানেই দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার জায়গা। এই জগতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা পর্দায় একরকম এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবন একেবারেই অন্যরকম স। পর্দার বাইরে তারা এক অন্যরকম জীবন কাটান, যেখানে নিজেদের পছন্দ, সিদ্ধান্ত এবং সীমাবদ্ধতা থাকে। দর্শকের জন্য দেখানো হয় শুধুমাত্র অভিনয়, কিন্তু আসল জীবন আর শিল্পীর ব্যক্তিত্বের সংযোগ অনেক সময় অজানা থাকে।
এমন একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। তিনি মূলত টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেন এবং দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বয়েই গেলো’-এ তার অভিনয় বিশেষ প্রশংসিত হয়েছে। জি বাংলার এই ধারাবাহিকে তার অভিনয় দর্শকদের কাছে তাকে আরও পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
বাসবদত্তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসা পেয়েছে। এই ছবি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং প্রায় এক দশক পরে কোন বাংলা চলচ্চিত্র এভাবে উৎসবে নির্বাচিত হওয়ার সম্মান পায়। ২০১৫ সালে ছবিটি ৬২তম জাতীয় পুরস্কারে দুটি বিভাগে সম্মানিত হয়। এছাড়াও, নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি তিনটি বিভাগে পুরস্কৃত হয় এবং মোট ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে।
আরও পড়ুনঃ “আমি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী নই, অনেক আগেই ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম!” “দক্ষিণে কাজ করেছি চুটিয়ে, বাংলাকে তেমন প্রাধান্য দিইনি!”— রচনার কথায় সমালোচনার ঝড়! ‘তাহলে বাংলায় ফিরলেন কেন?’ ‘এত সাউথের ছবি দেখেছি, তোমাকে তো দেখিনি!’ ‘তোমার চলে যাওয়ায় বাংলার কোনও ক্ষতি হয়নি!’— কটাক্ষ সমাজ মাধ্যমের!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাসবদত্তা বলেছেন, “আমি যেমন কাজ বাছি তেমন কার সাথে মিশবো সেটাও বাছি।” তিনি জানান, অনেক সময় এমন দৃশ্য থাকে যেখানে তিনি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না, যার কারণে তিনি কিছু কাজ হারিয়েছেন। এই উক্তি প্রকাশ করে তিনি পর্দার বাইরে নিজের সীমাবদ্ধতা এবং পেশাগত নীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।
পরিশেষে বলা যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র পর্দার সুন্দর উপস্থিতি নয়, বরং নিজের পছন্দ এবং নীতির সঙ্গে পেশাদারিত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে চলছেন। বিনোদন জগতে তার প্রতিভা এবং নিজের প্রতি সততা তাকে আলাদা পরিচয় প্রদান করছে, যা তাকে দর্শকের কাছে আরও মানবিক ও প্রিয় করে তুলেছে।
