জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, গুন্ডাদের হাত থেকে পারুলকে উদ্ধার করে এনে চিকিৎসা করে তার মা। নিজের অজান্তেই পারুল মায়ের কাছে পৌঁছে যায় আর এদিকে পারুলের পরিচয় না জেনেও, তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ে মা। পারুলের জ্ঞান না ফেরায়, তিনি অস্থির অস্থির করতে থাকেন।
সাহায্যকারী মহিলারা জানতে চায় পারুলের মাকে যে, এই মেয়েটার জন্য তিনি এত উতলা হচ্ছেন কেন। পারুলের মধ্যে নিজের তরুণ বয়স দেখতে পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। আরও বলেন তিনি যে, পারুলকে দেখে মনে হয় মানুষের উপকার করাই ওঁর প্রথম লক্ষ্য আর ও বেঁচে থাকলে অনেক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে। তিনি পারুলকে লড়াকু এবং খুব সাহসী মেয়ে বলে জানান।
দলের একজন লোক এসে পারুলের মাকে খবর দেন যে, পুলিশ জেনে গেছে পারুলের খোঁজ তাই যেকোনও সময় এসে পড়বে তারা। এই অবস্থায় পারুলকে দেখে যেতে চাইছেন না তার মা, কিন্তু বাধ্য হয়ে ওই বৃদ্ধার বাড়িতেই পারুলকে রেখে তারা পালিয়ে যায়। এরপর রায়ানরা এসে পারুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে। সেখানকার লোকেরা বলেন এখন আম্মা পারুলকে এখানে এনে চিকিৎসা করেছেন।
তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পারুলকে। ওখানে চিকিৎসা হওয়ার পর পারুলের জ্ঞান ফিরল সে মায়ের নাম করতে থাকে। চিকিৎসকও বলেন যে, পারুলের চিকিৎসা আগেই হয়ে গেছিল আর সঠিকভাবেই হয়েছিল। যদি ঠিক সময় ঠিক ওষুধ পারুল না পেত, তাহলে বাঁচানো সম্ভব হতো না। রায়ান কিছুই বুঝতে পারে না, কিন্তু বসুদেব সব বুঝতে পারে কি হয়েছে এবং কে করেছে।
আরও পড়ুনঃ “এই একটা গাঙ্গুলীকেই আমার ভালো লাগে, আমি ভালোবাসি” – জিৎ গাঙ্গুলীকে ভালো লাগে বলার মাধ্যমে প্রাক্তন প্রেমিকা শুভশ্রী গাঙ্গুলীকেই আবারও কটাক্ষ করলেন দেব?
তিনি নিশ্চিত যে পারুল অজান্তেই ডাক্তার দিদি মনে নিজের মায়ের কাছেই পৌঁছে গেছিল। ওদিকে আবার শিরীনের মায়ের একজন লোক মারা গেলেও, একজন আহত হয়ে ফিরে এসে সবকিছু শিরীনের মকে বলে। ছবি আঁকানোর ব্যবস্থা করতে বলে শিরীনের মা। লোকটির বর্ণনা অনুযায়ী ছবিটি দেখা যায়, মহিলাটি আর কেউ নয় পারুলের মা! পারুলও এবার সেই আম্মার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে।
