জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুল জেলে বসে দুঃখ করতে থাকে যে মায়ের মত তাঁরও জীবনটা শেষ হয়ে গেল। পরীক্ষার জন্য এত পড়াশোনা সব বৃথা হয়ে গেল। হঠাৎ রায়ান এসে পারুলকে ভরসা দেয় যে, খুব তাড়াতাড়ি নির্দোষ প্রমাণ করে পারুলকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
এরপর রায়ান পারুলকে কিছু বই এনে দেয়, যতদিন সে জেলে আছে ততদিন যাতে পড়াশোনায় কোন ব্যাঘাত না ঘটে। রায়ানের চোখে মুখে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস দেখে পারুল ভয় পেয়ে যায়। যেখানে নামিদামি উকিল বলছেন পারুলকে বাঁচানো অসম্ভব, সেখানে দায়ান এত আত্মবিশ্বাসী কেন! পারুল বুঝতে পারে কিছু একটা হতে চলেছে।
রায়ান বাড়ি গিয়ে ভাই বোনেদের সঙ্গে আলোচনা করতে থাকে পারুলকে নিয়ে। রায়ান ঠিক করে যতদিন না কোনও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে পারুলের নির্দোষ হওয়ার, ততদিন পুলিশের নজর থেকে লুকিয়ে রাখতে হবে তাকে। আগামীকাল কোর্টে শুনানির আগেই, রায়ান ঠিক করে হাইজ্যা’ক করবে পারুলদের গাড়ি!
প্রথমে ভয় পেলেও পরে সবাই রায়ের এর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেয়। বিশেষ করে গোপাল তার বোনের জন্য সবকিছু করতে পারে। এরপর দেখা যায়, রাতেরবেলা পারুলদের অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানায় পুলিশ। এরপর চোখ বেঁধে একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে গুলি করে এনকা’উন্টার করে দেয়!
আরও পড়ুনঃ “লোকে বলে প্রযোজক-পরিচালকের কাছের মানুষ হলে সহজে কাজ পাওয়া যায়, কিন্তু রাজ তো…”— স্বামীর ছবিতে নিজের কম উপস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন শুভশ্রী! কেন রাজ চক্রবর্তী নিজের ছবিতে আর কেন নেন না শুভশ্রীকে?
আতঙ্কে ঘুম ভেঙে পারুল দেখে সে এখনও জীবিত, তবে কোর্টে যাবার সময় হয়েছে। পারুলদের পুলিশ ভ্যানে করে কোর্টের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝপথে একটা অ্যাম্বুলেন্স এর জন্য পুলিশ গাড়ি থামাতে বাধ্য হয়। দেখা যায় ওই অ্যাম্বুলেন্সে ছদ্মবেশে রুক্মিণী রয়েছে, এদিকে ভিখারি সেজে রায়ান আর গোপাল বাকি পুলিশদের সরিয়ে ফেলে। তারপর ভ্যান হাই’জ্যাক করে নিয়ে পালায় তারা!
